Thank you for trying Sticky AMP!!

সিপিবিকে নিশ্চিহ্ন করতে এই হামলা: আদালত

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় করা হত্যা মামলার রায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত দুজনকে খালাস দিয়েছেন। আদালতের অভিমত এই যে, আসামিরা হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি) সদস্য। 

আদালত পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী হুজির ধারণা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির লোকেরা কাফের। তাঁরা বিধর্মী, নাস্তিক, ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী নয়। তাঁরা ইসলাম ধর্মের শত্রু, আল্লাহ খোদা মানেন না। সে কারণে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে আসামিরা এই বোমা হামলা ঘটিয়েছেন।

আদালত পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, ‘আসামিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সে কারণে আদালত মনে করেন, এ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করা এবং সমুন্নত রাখার জন্য হরকাতুল জিহাদের এই জঙ্গিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’

আদালত বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম শান্তি ও সত্যের ধর্ম। মহান আল্লাহ কোনো জঙ্গি সংগঠন বা দলকে ধর্মের নামে নিরীহ ও নির্দোষ মানুষকে হত্যা করার কোনো অধিকার প্রদান করেননি।’

আদালত মনে করেন, মৃত্যুদণ্ডই এই আসামিদের উপযুক্ত ও একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত।

যাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন মুফতি মাঈনুদ্দিন শেখ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, আরিফ হাসান সুমন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুস্তাকিম, আনিসুল মুরসালিন, মুফতি আবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান ও নুরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে মাঈনুদ্দিন, আরিফ, সাব্বির ও শওকত ছাড়া অন্যরা পলাতক।

খালাস পাওয়া দুজন হলেন মশিউর রহমান ও রফিকুল ইসলাম মেরাজ। তাঁরাও পলাতক।

আরও পড়ুন:
সিপিবির সমাবেশে হামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, খালাস ২