Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেটে পাসের হার কমেছে, বেড়েছে জিপিএ-৫

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে সিলেটের ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবিটি বৃহস্পতিবার দুপুরে তোলা। ছবি: আনিস মাহমুদ

সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৮৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে গতবারের চেয়ে জিপিএ-৫ বেড়েছে ৩৯৭টি। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬৬৩ জন পরীক্ষার্থী।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামছুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরীক্ষার্থীরা গণিত বিষয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি খারাপ করেছে। এ ছাড়া উত্তরপত্র মূল্যায়নের ব্যাপারে এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরীক্ষকদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার নির্দেশনা ছিল। এতে পাসের হার কমলেও শিক্ষার্থীদের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রয়েছে।’

জিপিএ-৫ বাড়া প্রসঙ্গে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব পাঠদান চালু হয়েছে। এ কার্যক্রম আবার জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। এটি গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করছে। জিপিএ-৫ বাড়ার পেছনে এটি অন্যতম কারণ।’

ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার ৯৩ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৫ হাজার ৩৭৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪১ হাজার ৬২৬ জন ছেলে এবং ৫২ হাজার ২৮৯ জন মেয়ে। পাসকারীদের মধ্যে ৩৩ হাজার ৬৫৫ জন ছেলে এবং ৪১ হাজার ৭১৯ জন মেয়ে।

পরীক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি থাকলেও বিগত চার বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা পাসের হার এবং জিপিএ-৫-এর দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে। এবার ছেলেদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এবার ১ হাজার ৪২৭ জন ছেলে এবং ১ হাজার ২৩৬ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বক্তব্য দেন। পাসের হার কমে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণিতে শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে ফল খারাপ করেছে। এ বিষয়ে পাসের হার ৯১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ ছাড়া এবারই নতুনভাবে যুক্ত হওয়া আইসিটি ও ক্যারিয়ার এডুকেশন বিষয়ে ৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। এ কারণে সার্বিক পাসের হারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।