Thank you for trying Sticky AMP!!

সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

রাজধানীর রূপনগর খালের সীমানা নির্ধারণে যৌথ জরিপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ওয়াসা ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খালের ওপরে থাকা অবৈধ স্থাপনা এক মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

 ‘রূপনগর খাল নিয়ে কুৎসিত কর্মকাণ্ড’ শিরোনামে গত ২৬ অক্টোবর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে সেদিন হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় রূপনগর খাল নিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকার জেলা প্রশাসন ও উত্তর সিটি করপোরেশনের এক যৌথ জরিপ প্রতিবেদন গত ৯ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করা হয়। এই জরিপ প্রতিবেদনের ভাষ্য, রূপনগর খালের কোনো অস্তিত্ব নেই, এটি পয়োনিষ্কাশনের নালা। ওই নালার মধ্যে কোনো অবৈধ স্থাপনাও নেই।

ওই জরিপ প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রথম আলোর সংবাদ সাংঘর্ষিক হওয়ায় ৯ জানুয়ারি আদালত প্রথম আলোকে এ বিষয়ে বক্তব্য দাখিলের নির্দেশ দিয়ে ২১ জানুয়ারি দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বিষয়টি ওঠে। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে গতকাল আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, যৌথ জরিপ প্রতিবেদন ছাড়া ইতিপূর্বে বিবাদীদের দাখিল করা প্রতিবেদনগুলোতে রূপনগর খালকে নালা নয় খাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ও জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদনের পাঁচ জায়গায় অবৈধ স্থাপনা থাকার কথা এসেছে। শুনানি নিয়ে আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শাহজাহান। ওয়াসা চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম। প্রথম আলোর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী। পরে তাপস কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, সব রিপোর্ট ও প্রথম আলোর বক্তব্য পর্যালোচনা করে আদালত ওই আদেশ দেন।