Thank you for trying Sticky AMP!!

সেন্ট মার্টিনে তিন ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১৪ জেলে

কক্সবাজার

সেন্ট মার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে কালবৈশাখীর কবলে পড়ে মাছ ধরার তিনটি ট্রলার ডুবে গেছে। নিখোঁজ হয়েছে একটি ট্রলার। ট্রলারগুলোতে মাঝিসহ ৩২ জেলে ছিলেন। এর মধ্যে ১৮ জন উদ্ধার হলেও নিখোঁজ আছেন ১৪ জন। বুধবার ভোরে কালবৈশাখীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ ১৪ জেলের মধ্যে ৬ জন ডুবে যাওয়া তিন ট্রলারে ও বাকি ৮ জন নিখোঁজ ট্রলারে ছিলেন।

ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ছয় জেলের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন, মোহাম্মদ রশিদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আবুল হোসেন, মতিউর রহমান, শাহ আলম ও আবদুল্লাহ। তবে অপর আটজনের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জোবাইর বলেন, ‘আমার মালিকানাধীন একটি ট্রলারসহ চারটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলারগুলোতে থাকা ১৮ জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।’

ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়ার বদিউল আলম, কবির আহমদ ও পার্শ্ববর্তী মিস্ত্রিপাড়ার মোহাম্মদ জোবাইরের মালিকানাধীন ট্রলারসহ একাধিক ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যায়। ঘটনার সময় ট্রলারগুলো জাল ফেলা অবস্থায় নোঙর করা ছিল। আশপাশে থাকা মো. ইসমাইল ও মো. আমিনের মালিকানাধীন ট্রলার ১৮ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। নিখোঁজ ট্রলারের মালিক শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণপাড়া মো.আবদুল্লাহ।

উদ্ধার হওয়া মাঝি মো. ইলিয়াছ ও ইউছুফ জালাল জানান, জাল ফেলে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁদের তিনটি ট্রলার ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী ট্রলারের সহযোগিতায় তাঁরা কয়েজন উঠে আসতে পারেন।

সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, ‘স্থানীয় চার বাসিন্দার তিনটি ট্রলারডুবি ও একটি নিখোঁজ রয়েছে বলে শুনেছি। এখন পর্যন্ত ১৪ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে আবদুল্লাহর মালিকানাধীন ট্রলারের মাঝিমাল্লাদের নাম-ঠিকানা এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।’

কোস্টগার্ড সেন্ট মার্টিন স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফয়েজুল ইসলাম মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরার সময় ট্রলারডুবির বিষয়টি শুনেছি। তবে মালিকপক্ষের কাছ থেকে এ পর্যন্ত কেউ কোনো কিছুই জানায়নি। এরপরও এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’