Thank you for trying Sticky AMP!!

সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ

আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি

গত সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। যা আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কম। গত আগষ্ট মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের মূল্যস্ফীতির এই হালনাগাদ তথ্য দেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির তথ্য হালনাগাদ করে থাকে।

মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়া সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঈদের মধ্যে আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। মূল্যস্ফীতির এই হার অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে, তা মূল্যস্ফীতি ভবিষ্যতে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি গণনার যে পণ্য ও সেবা তালিকা আছে, সেখানে জ্বালানি তেলের অংশীদারত্ব বেশ কম। গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেশ কম ছিল। আগামীতে এই প্রবণতা নিম্নমুখী থাকবে। তিনি বলেন, বাসাভাড়া প্রতি বছর বাড়ে না, সব সময় শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ে না।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। গত আগস্ট মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ হয়েছে। আগস্ট মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিবিএসের দেওয়া তথ্য মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে আগের চেয়ে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ফল, মসলা দুধ ও অন্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত খাতে দাম বেড়েছে পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদি।

বিবিএস বলছে, গত আগষ্ট মাসে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল। গত আগস্ট মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, আর গ্রামে ছিল এ হার ৫ দশমিক ০৫ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষের ওপর জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে না এমন তথ্য পাওয়া যায় বিবিএসের জাতীয় মজুরি সূচক থেকে। মানুষের আয় কতটা বাড়ল কিংবা কমল, তা জাতীয় মজুরি হার সূচক দিয়ে বোঝানো হয়। বিবিএস বলছে, ২০১০-১১ ভিত্তিবছর ধরে গত আগষ্ট মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ যে হারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হারে মজুরি বেড়েছে।