Thank you for trying Sticky AMP!!

সৌদিতে প্রবাসীদের হোটেল কোয়ারেন্টিন খরচ যাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে

ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণ এড়াতে সৌদি আরবে যেসব প্রবাসী কর্মীকে বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে, তাঁদের এই খরচের টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে কর্মীপ্রতি ২৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ভর্তুকির এই অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মী বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এই অর্থ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.probashi.gov.bd অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইট www.wewb.gov.bd অথবা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ওয়েবসাইট www.bmet.gov.bd থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে অথবা দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক থেকে সংগ্রহ করে তা পূরণ করে ৭ জুন থেকে ফ্লাইটের দিন বহির্গমনের আগে বিমানবন্দরে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কে জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্রের সঙ্গে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সেগুলো হলো জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) দেওয়া স্মার্টকার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্টের প্রথম চার পৃষ্ঠার ফটোকপি, পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত ভিসার ফটোকপি, টিকেটের ফটোকপি এবং হোটেল বুকিংয়ের ডকুমেন্টের ফটোকপি।

সৌদিপ্রবাসী যেসব কর্মী ইতিমধ্যে দেশটিতে গিয়ে নিজ খরচে কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন বা করছেন, তাঁদের একই নিয়মে সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে ৩০ জুনের মধ্যে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস, রিয়াদ অথবা বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দায় ডাক মারফত জমা দিতে হবে।

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় যাত্রীদের জন্য গত ১৭ মে কিছু বিধিনিষেধ জারি করে সৌদি আরব সরকার। এটি ২০ মে কার্যকর হয়। এর ফলে কোয়ারেন্টিন প্যাকেজের জন্য (হোটেল ভাড়া ও করোনা পরীক্ষার ফি) বাড়তি খরচ করতে হয় প্রবাসীদের। ২৫ মে ‘বাড়তি খরচের চাপে সৌদিপ্রবাসীরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। এরপর ২৭ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, সৌদিপ্রবাসীদের ভর্তুকি দেওয়া হবে।

Also Read: বাড়তি খরচের চাপে সৌদিপ্রবাসীরা

সৌদি কর্তৃপক্ষের বিধিনিষেধে বলা হয়, সে দেশে যাওয়ার আগে করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৪ দিন পার হলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। তা না হলে সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ ছাড়া হোটেলে প্রবেশের আগে এবং কোয়ারেন্টিন শেষে বের হওয়ার পর করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বলেছে, উড়োজাহাজ সংস্থা ছাড়াও সৌদি এয়ারলাইনসের (সৌদিয়া) তালিকাভুক্ত ৩০০ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে কোয়ারেন্টিন প্যাকেজ বুকিং দিতে পারবেন প্রবাসীরা। উড়োজাহাজ সংস্থা ও ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে গত বৃহস্পতিবার এটি চালু করা হয়েছে। টিকিট থাকার পরও যাঁরা ২০ মে থেকে যেতে পারেননি, তাঁরা কোনো বাড়তি ফি ছাড়া পুনরায় টিকিট নবায়ন করতে পারবেন। সৌদিয়া কার্যালয় বা ট্রাভেল এজেন্সি থেকে তাঁরা এটি করতে পারবেন। এর ফলে ঢাকায় না এসে নিজের কাছাকাছি এলাকার অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকেই বুকিংয়ের সুযোগ পাবেন কর্মীরা। হোটেল বুকিংয়ের জন্য সর্বোচ্চ ২ হাজার এবং টিকিট নবায়নের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ট্রাভেল এজেন্সির। এ ছাড়া প্রবাসী কর্মীদের যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান দিতে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ কাজ করছে।