Thank you for trying Sticky AMP!!

সৌদিতে নারী কর্মীদের সুরক্ষায় সরকারের ১২ নির্দেশনা

সৌদি আরবে গিয়ে অনেক নারী যৌন নির্যাতনসহ নানা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ থেকে গত তিন বছরে প্রায় তিন লাখ নারী কাজের জন্য সৌদি আরবে গেছেন। এর মধ্যে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই ফিরে এসেছেন সাড়ে আট হাজার নারী। তাঁদের অনেকে যৌন নির্যাতনসহ নানা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। এ অবস্থায় নারী কর্মীদের সুরক্ষায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ১২টি নির্দেশনাসহ একটি পরিপত্র জারি করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে সৌদি আরবে যাওয়ার আগে জনশক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে নারী কর্মীরা ৩০ দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ নেন। নতুন পরিপত্র অনুযায়ী, তাঁদের প্রশিক্ষণের মূল্যায়ন করবে তৃতীয় একটি পক্ষ। প্রশিক্ষণকেন্দ্রে যাওয়ার আগে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত নারী কর্মীর তালিকাসহ বিস্তারিত তথ্য সরকার গঠিত কমিটির কাছে হাজির করতে হবে।

বয়স কমবেশি দেখানো, যথাযথ প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া কোনো নারী কর্মীকে সৌদি আরবে পাঠানো হলে দায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে পরিপত্রে। এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে নারী কর্মীদের দুই দফায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। প্রশিক্ষণকেন্দ্রে পাঠানোর আগে একবার এবং বহির্গমন ছাড়পত্র নেওয়ার সময় আরেকবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নির্দেশনার কয়েকটি আগে থেকেই মানা হচ্ছে। কয়েকটি বিষয় নতুন যুক্ত হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় জোর দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণে। এক মাসের মধ্যে ‘হাউস কিপিং কারিকুলাম’ হালনাগাদ করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে বলা হয়েছে।

পরিপত্র বলছে, প্রত্যেক নারী কর্মীকে বিদেশ যাওয়ার আগে একটি স্মার্টফোন দেবে রিক্রুটিং এজেন্সি।