Thank you for trying Sticky AMP!!

সৌদি খেজুরের মাহাত্ম্য

মক্কা থেকে

খেজুরকে আরবিতে তুমুর বলে। মক্কার কাকিয়ায় খেজুরের বড় মার্কেট। অনেকগুলো দোকান। বেশ কিছু দোকানে বাংলাদেশিরা কাজ করেন। কথায় বলে ‘মামা-ভাগনে যেখানে, আপদ নেই সেখানে’। এমনি মামা-ভাগনের সন্ধান মিলল। প্রথমে মামা কাজ করতেন খেজুরের দোকানে। একই মালিকের আরও দোকান বাড়ল। সেই সুযোগে মামা দেশ থেকে ভাগনেকে নিজের কাছে নিয়ে এলেন। তাঁরা ময়মনসিংহের বাসিন্দা।
ভাগনে আল আমিন জানালেন, বিশ্বের প্রায় ৬০ ভাগ খেজুর সৌদি আরবে হয়। এখানকার জনপ্রিয় খেজুরগুলো হলো আজুয়া, আনবারা, সাগি, সাফাওয়ি, মুসকানি, খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদরি ইত্যাদি। জানা গেল, এই খেজুর রোদে না শুকিয়ে গাছ থেকে কাটার পরই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়। আরবিতে এর নাম রাতাব। খেতে বেশ সুস্বাদু।
আল আমিন আরও জানালেন, ময়মনসিংহের ভালুকায় মোতালেব হোসেন চাষ করছেন সৌদি খেজুর। একসময় সৌদিতে খেজুরবাগানে কাজ করতেন। দেশে ফেরার সময় সৌদি আরব থেকে ৩৫ কেজি খেজুর আনেন। ১০ কাঠা জমিতে খেজুরের ২৭৫টি বীজ বপন করেন। চার বছর অপেক্ষার পর ফলে খেজুর। প্রতিটি খেজুরের ওজন ৩৫-৪০ গ্রাম।
বাংলাদেশের টুপি সৌদি আরবে
সৌদি আরবের দোকানগুলোয় সুন্দর ও নকশা করা টুপি দেখে মুগ্ধ হই। হাতে নিয়ে মন ভরে ওঠে। কারণ, টুপির গায়ে লেখা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। দোকানগুলোতে বিভিন্ন নকশা আর সুঁই-সুতার নিপুণ কাজ করা টুপিগুলো সহজেই ক্রেতাদের নজর কাড়ে।
হজের সময় টুপি বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। অনেকে টুপি কেনেন স্বজন-পরিচিতজনদের উপহার দেওয়ার জন্য। তাঁদের দাবি, চাহিদার দিক থেকে এগিয়ে বাংলাদেশের টুপি। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমপ্রধান অন্যান্য দেশেও আছে এর চাহিদা।
কয়েকটি দোকান ঘুরে কথা বলে জানা গেল, এসব টুপি তৈরি হয় ফেনী, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ভোলা, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ, সিলেট, বাগেরহাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। এসব টুপি তৈরিতে নিয়োজিত আছেন মূলত নারীরা।
কাজী ক্যাপ হাউসের স্বত্বাধিকারী কাজী সেলিম জানালেন, কমপক্ষে পাঁচ হাজার নারী টুপি তৈরির কাজ করেন। একটি টুপি তৈরিতে সর্বনিম্ন সাত থেকে সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। ঘরের কাজের ফাঁকে গৃহিণীরা এ কাজ করেন। তাই মাসে এক থেকে দেড় হাজারের বেশি টুপি তৈরি করিয়ে আনা সম্ভব হয় না। কারণ, এক মাসে একজন নারী সর্বোচ্চ চারটি টুপি তৈরি করতে পারেন। একটি টুপিতে নকশা করে সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা পান একজন নারী।
কাজী সেলিম জানান, চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন গ্রামে কাজী ক্যাপ হাউসের জন্য টুপি তৈরি করা হয়।
হজযাত্রীদের ম্যাপ বিলি
সৌদি আরবের মক্কায় বাংলা ভাষায় মিনার দিকনির্দেশনামূলক ম্যাপের মোড়ক উন্মোচন করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। গতকাল দুপুরে মক্কা হজ কার্যালয়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিনা মূল্যে হজযাত্রীদের ম্যাপ বিলি কার্যক্রম শুরু হয়।