Thank you for trying Sticky AMP!!

স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে ১৬ বছর পর এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম সিরাজুল হক (৬৬)। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সিরাজুল হক উপজেলার উত্তর মিরুখালী গ্রামের মৃত জবেদ আলী আকনের ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক।

মামলার বিবরণ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজুল হক বিদেশে যাওয়ার জন্য স্ত্রী নাজমা বেগমের নামে থাকা তিন কাঠা জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দেন। কিন্তু এতে নাজমা রাজি হননি। ২০০৩ সালের ৯ নভেম্বর স্ত্রী নাজমা বেগম ও মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে নিয়ে সিরাজুল তাঁর বোনের স্বামী একই গ্রামের আফজাল হোসেনের বাড়িতে যান। ওই বাড়িতে যাওয়ার পর জমি বিক্রি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে নাজমা বেগম মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় সিরাজুল হকও তাঁদের সঙ্গে রওনা দেন। কিছুদূর যাওয়ার পর স্থানীয় আবদুল কাদেরের বাড়ির সামনে সিরাজুল হক স্ত্রী ও মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ সড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন সড়কের পাশে মা ও মেয়ের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহত নাজমা বেগমের বাবা উপজেলার বাদুরা গ্রামের আবদুর রব ফরাজী বাদী হয়ে সিরাজুল হকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ সালের ৯ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপপরিদর্শক খোরশেদ আলী আসামি সিরাজুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামির অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।

সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামি সিরাজুল হক পলাতক।

পলাতক আসামি সিরাজুল হকের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন গোলাম রব্বানী।