স্থায়ী সমাধানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
যশোরের ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা নগরের নূরনগর এলাকায় ওই কর্মসূচি পালন করে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি। কর্মসূচিতে ভবদহ এলাকার কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে পাউবো খুলনা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ সময় ওই এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য সাত দফা দাবি জানান বক্তারা।
তাঁদের দাবিগুলো হলো, অবিলম্বে বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প গ্রহণ ও হরি শ্রী নদী ভরাট হয়ে যাওয়া পলি অপসারণ করা, জমি অধিগ্রহণ করে আমডাঙ্গা খাল প্রশস্ত ও গভীর করা, এখনই বাড়িঘরের পানি নামানোর জন্য ২১ ভেন্টের স্লুইচ গেটের সব কপাট খুলে দেওয়া, ভাটিতে সাত-আট কিলোমিটার নদীতে চ্যানেল কাটা, প্রস্তাবিত ৫০ কোটি টাকার সেচ প্রকল্প বাতিল করা, ভবদহ এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিল কপালিয়ায় টিআরএম করার সরকারি সিদ্ধান্ত বানচালকারীদের বিচার করা, সব কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কার্যকর করা এবং উজানে নদী সংযোগ দেওয়া।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রনজিত বাওয়ালীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ভবদহ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা। এ সময় বক্তারা জানান, ভবদহ জনপদের ২০০ গ্রামের প্রায় ১০ লাখ মানুষ একটি কুচক্রী সিন্ডিকেটের লুটপাটের লালসার শিকার হয়ে পানিতে ডুবতে বসেছে। উদ্ভব হয়েছে মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নদী বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সবাই মত প্রকাশ করেছেন ওই এলাকাকে বাঁচানোর জন্য টিআরএম ছাড়া বিকল্প নেই। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষের স্বার্থ হাসিলের জন্য তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এলাকার মানুষের তিন ফসলের জমিকে সরকার কীভাবে জলাভূমি ঘোষণা করে সে ব্যাপারেও প্রশ্ন করেন বক্তারা। ভবদহ এলাকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য দ্রুত টিআরএম বাস্তবায়ন করার দাবি জানান বক্তারা।
আরও পড়ুন
-
স্কুল, মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
-
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ
-
আগামীকালও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
মিয়ানমারে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি
-
সামান্য রদবদলে নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন