Thank you for trying Sticky AMP!!

স্পিডবোট ডুবে পাঁচ বিদেশি আহত, নিখোঁজ ১

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে বাঁকখালী মোহনায় খননযন্ত্রের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি স্পিডবোট ডুবে পাঁচ ভারতীয় পর্যটক আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্পিডবোটটির চালক মোহাম্মদ আনিস (২৮) নিখোঁজ রয়েছেন। পেছন থেকে আসা আরেকটি স্পিডবোট ঘটনাস্থলে এসে পর্যটকদের উদ্ধার করেন।

ওই স্পিডবোটটির মোট ১০ যাত্রীর সবাই ভারতের কলকাতার বাসিন্দা। আহত পাঁচজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ আনিস মহেশখালী পৌর এলাকার গোরকঘাটা পূর্বপাড়া মাওলানা মোহাম্মদ জমিরের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন বিথিকা মণ্ডল (৫৫), নন্দীনি পান্ডে (৫৮), প্রেয়সী দাশ (৬০), রাখেশ দাশ (৬২) এবং শুকপ্রীতি মুখার্জি (২৬)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আদিনাথ মন্দির দেখার জন্য বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার ৬ নম্বর জেটি ঘাট থেকে ২০ জন ভারতীয় পর্যটক দুটি স্পিডবোট নিয়ে বাঁকখালী চ্যানেল হয়ে মহেশখালীতে যাচ্ছিলেন। পথে বাঁকখালী মোহনায় খননযন্ত্রের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চালক মোহাম্মদ আনিসের স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ সময় পেছন থেকে আসা ওই পর্যটকদের আরেকটি স্পিডবোট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ জন বিদেশি পর্যটককে উদ্ধার করে। কিন্তু চালক আনিসকে উদ্ধার করতে পারেনি। আনিসের সন্ধানে সাগরে অতিরিক্ত ছয়টি স্পিডবোট নিয়ে ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা তল্লাশি চালান। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি।

আহত পাঁচজন পর্যটককে দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে বীথিকা মণ্ডল ও নন্দীনি পান্ডের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, চালক আনিসের সন্ধানে সাগরে অতিরিক্ত স্পিডবোট নামিয়ে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।