Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বাস্থ্যের আরও ১২ জনকে দুদকে তলব

দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের প্রত্যেককে নিজের ও স্ত্রীর পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, আয়কর রিটার্নের অনুলিপিসহ দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম ১২ জনকে ৩ ভাগে পৃথক তলবি নোটিশ পাঠান।
১৩ অক্টোবর তলব করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুহুল আমিন, প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএ) মো. শাহজাহান ফকির ও পিএ আবু সোহেলকে। নোটিশে চারজনকে ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে হাজির হতে বলা হয়েছে।

পরদিন ১৪ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি ক্লিনিক শাখার সহকারী আনোয়ার হোসেন, অফিস সহকারী মো. হানিফ, উচ্চমান সহকারী মো. শাহানেওয়াজ ও শরিফুল ইসলামকে এবং ১৫ অক্টোবর অফিস সহকারী মাসুদ করিম, মো. আলাউদ্দিন ও মো. ইকবাল হোসেন এবং কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার মো. সাফায়েত হোসেনকে তলব করা হয়েছে।

দুদকের নোটিশে সবার বিরুদ্ধে ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করে বিদেশে পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ’ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর দুদক অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য খাতের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের ৯ জনের স্ত্রীর সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ করেছিল। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ২০ জনকে এ নোটিশ পাঠান। এর মধ্যে অঢেল সম্পদের মালিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গড়িচালক আবদুল মালেক গ্রেপ্তারের পর কারাগারে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পলাতক।

দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে ২০১৯ সাল থেকে অনুসন্ধান দল কাজ করছে। ইতিমধ্যে মালেকসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।