Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বাস্থ্যের ১১ কর্মী ও ৯ স্ত্রীর সম্পদের হিসাব চাইল দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য খাতের ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের মধ্যে আটজনের ৯ স্ত্রীর (একজনের দুই স্ত্রী) সম্পদের হিসাবও চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত রোববার গ্রেপ্তার হওয়া গাড়িচালক আবদুল মালেকও রয়েছেন।
আজ সোমবার দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ২০ জনকে এই নোটিশ পাঠান। প্রত্যেককে সম্পদের বিস্তারিত বিবরণী নোটিশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।


যাঁদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মজিবুল হক মুন্সি ও তাঁর স্ত্রী রিফাত আক্তার; ইপিআই-এর ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া ও তাঁর স্ত্রী খাদিজা আক্তার; স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মো. আবদুল মালেক ও তাঁর নার্গিস বেগম; গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী বিলকিচ রহমান ও রেহেনা আক্তার (ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের স্টাফ নার্স); রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ইমদাদুল হক ও তাঁর স্ত্রী উম্মে রোমান ফেন্সি; জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. মাহমুদুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন; শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী ফিরোজা বেগম; স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কামরুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী উম্মে হাবিবা; গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের স্টেনোগ্রাফার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলাম; বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর রায়হান আলী এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন।


দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, ওই ২০ জনকে পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে সবাইকে নিজের এবং তাঁদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা এবং আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী নির্ধারিত ছকে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।