Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজিসহ পাঁচজনকে দুদকে তলব

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১২ ও ১৩ আগস্ট তাঁকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. আমিনুল হাসানসহ অপর তিন কর্মকর্তাকেও তলব করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও শেখ মো. ফানাফিল্যা পৃথক দুটি দাপ্তরিক চিঠিতে আবুল কালাম আজাদকে তলব করেন। অন্য এক চিঠিতে তলব করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালকসহ চার কর্মকর্তাকে।

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মীর মো. জয়নুল আবেদীন তাঁর চিঠিতে বলেছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের ( সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিইসহ আনুষঙ্গিক স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এসেছে। এ সব অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য গ্রহণের জন্য তলব করা হয়।

আবুল কালাম আজাদকে পাঠানো ‌‘অতীব জরুরি’ তলবি নোটিশে আগামী ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।

দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা তাঁর নোটিশে আবুল কালাম আজাদকে ১৩ আগস্ট তলব করেছেন। নোটিশে তিনি বলেছেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সাহেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর (আবুল কালাম আজাদ) বক্তব্য গ্রহণ প্রয়োজন।

এই ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলামকে ১২ আগস্ট দুদকের হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।