Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফেলে ক্লিনিকে দেখেন রোগী

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দেলোয়ার হোসেন নামের এক চিকিৎসককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজবাড়ীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিরুল ইসলাম ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। দেলোয়ার পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র ও কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, পাংশা শহরের বারেক মোড়ে তিন বছর আগে সৌদি ম্যানশনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ভাড়া নেন শামসুদ্দিন বিশ্বাস, কামরুজ্জামান খান ও চিকিৎসক দেলোয়ারের বাবা মাছেম মণ্ডল। এরপর তাঁরা সেখানে মদিনা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে যৌথভাবে ক্লিনিক ব্যবসা শুরু করেন। দেলোয়ার প্রায়ই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী রেখে ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল বেলা দুইটায় তাঁর হাসপাতালে রোগী দেখার কথা থাকলেও তিনি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্লিনিকে গিয়ে তাঁকে কর্মরত অবস্থায় দেখতে পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, দেলোয়ার হাসপাতালে ঠিকমতো রোগী দেখেন না। তিনি হাসপাতালে আসা রোগীদের ওই ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি জরুরি কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে অল্প সময়ের জন্য ওই ক্লিনিকে যাই।’ পাংশা উপজেলা চিকিৎসা কর্মকর্তা এ এফ এম শফি উদ্দিন বলেন, ‘বাইরে যাওয়ার কথা বলে তিনি ক্লিনিকে যাবেন, সেটা আমি বুঝতে পারিনি।’ রাজবাড়ীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিরুল ইসলাম জানান, ওই চিকিৎসক কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন না করে বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী দেখছিলেন। সরকারি দায়িত্ব পালন না করা এবং ক্লিনিকে অব্যবস্থাপনার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।