Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বাস্থ্য বিভাগকে না জানিয়ে চিকিৎসা, নোয়াখালীতে বেসরকারি হাসপাতাল লকডাউন

প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী শহরের বেসরকারি প্রাইম হসপিটাল লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী ১৪ দিন এই আদেশ বহাল থাকবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ইতালিপ্রবাসীকে ওই হাসপাতাল ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তিনি মারা যান। কিন্তু বিষয়টি সিভিল সার্জনের কার্যালয়কে না জানানোয় জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, লকডাউন চলার সময় পুরো হাসপাতাল খালি করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি ওই হাসপাতাল ১৫০ শয্যার। এটি নোয়াখালী শহরের সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল।

জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এক ইতালিপ্রবাসীকে (৪৫) ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে নমুনা পরীক্ষায় জানা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। ওই প্রবাসী নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আসার আগে ৫ এপ্রিল প্রাইম হাসপাতালের ৫০৪ নম্বর কক্ষে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢাকায় রেফার করে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানায়নি, গোপন রাখে। ফলে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া অন্য রোগীদের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে।

প্রাইম হসপিটালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম সিভিল সার্জন স্বাক্ষরিত হাসপাতাল লকডাউনের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সরকারি আদেশের চিঠি মালিকপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এরই মধ্যে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।