Thank you for trying Sticky AMP!!

স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে গ্রামবাসী

গাজীপুর থেকে আসা এক যুবক (৩০) জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন। ওই যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন এমন আশঙ্কায় লোকজন নিজেদের নিরাপত্তায় এই উদ্যোগ নিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ আজ বুধবার ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে।

ওই যুবকের পরিবারের সদস্য ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি গ্রামের এক যুবক কয়েক দিন আগে গাজীপুর থেকে নিজের বাড়িতে যান। তিনি গাজীপুরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। বাড়িতে যাওয়ার পর তীব্র জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হন। বাড়িতে থেকে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে গত রোববার বিষয়টি জানানো হয়। এর আগ থেকেই স্থানীয় লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতা নিয়ে ওই বাড়ির সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখে। বিষয়টি জানার পর গ্রামের লোকজনও স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যান।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য বলেন, গ্রামটিকে লকডাউন করে দেওয়া হয়। ওই গ্রামের লোক সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এর পর থেকে গ্রামের কোনো লোকজন বাইরে যাচ্ছেন না। বাইরের কাউকেও গ্রামের ভেতরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি গ্রাম পুলিশসহ এলাকার লোকজনদের সহায়তা নিয়ে বিষয়টি তদারকি করছেন।

গ্রামের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, যুবকের ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর তাঁরা নিজেরাই সর্তক হয়েছেন। গ্রামের লোকজন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না। নিজেদের মঙ্গলের জন্য স্বেচ্ছায় লকডাউন মেনে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী বলেন, ওই যুবকের অবস্থা এখন অনেক ভালো। আজ তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হবে। গ্রামের লোকজনের স্বেচ্ছায় লকডাউন মেনে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়কে তিনি সচেতনতা ফল হিসেবে উল্লেখ করেন।