Thank you for trying Sticky AMP!!

সড়কের পাশের গাছ কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা

কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন সড়কের পাশ থেকে দুর্বৃত্তরা গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত অন্তত ৩০টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এ নিয়ে গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশ থেকে প্রায় দুই শতাধিক গাছ কাটা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ-টেকনাফ-কক্সবাজার, টেকনাফ-বাহারছড়া সড়কের সাবরাং, নয়াপাড়া, সিকদারপাড়া, শীলবনিয়াপাড়া, মোচনী, হ্নীলা, ওয়াব্রাং ও লেঙ্গুরবিল নামক এলাকায় সড়কের পাশের অনেক ছোট-বড় গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, ১৯৯৬-৯৭ ও ১৯৯৯-২০০০ সালে বন বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কের দুই পাশে গাছগুলোর চারা রোপণ করে। এলাকার লোকজন জানান, দুর্বৃত্তরা সন্ধ্যা নামলেই ব্যাটারিচালিত এক ধরনের করাত দিয়ে গাছ কাটার অভিযানে নামে। একটি গাছ কাটতে ৩-৫ মিনিট সময় লাগে তাদের। এতে কেউ বাধাও দেওয়ার সাহস করে না। কাটা গাছগুলো তারা এলাকার প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি করছে। আবার অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসব গাছ কাটায় সরাসরি জড়িত রয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, গাছ পাচারকারীরা এলাকার জনপ্রতিনিধির নিকটাত্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। এতে গাছ কাটার ঘটনায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মীর কাশেম ও হামিদুর রহমান জানান, পুলিশ ও বন বিভাগকে গাছ কাটার বিষয়টি তাঁরা জানিয়েছেন। গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহামঞ্চদ ফরহাদ জানান, সড়ক থেকে গাছ নিধনের ঘটনায় বন বিভাগ পৃথক দুটি মামলা রুজু করেছে। নিধনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
টেকনাফ বন বিভাগে রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর আহমদ বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল ও আসবাবপত্র না থাকায় সঠিক সময়ে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এসব গাছ নিধন প্রতিরোধে স্থানীয় এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।