Thank you for trying Sticky AMP!!

হজ এজেন্সিতে দুদকের ৫ম দফা অভিযানে নানা অনিয়ম উদ্ঘাটন

রাজধানীর পল্টনে একটি হজ এজেন্সিতে অভিযানে দুদক কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি ও মানব পাচার বন্ধে একাধিক হজ এজেন্সিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে একাধিক হজ এজেন্সিতে অভিযান চালায় সংস্থাটি।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো হজ এজেন্সিতে অভিযান চালাল দুদক।
সূত্র জানায়, দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালিত হয়। উপপরিচালক মো. ফানাফিল্লাহ ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সমন্বয়ে পুলিশসহ নয় সদস্যের একটি দল রাজধানীর নয়াপল্টনের হজ এজেন্সিগুলোতে অভিযান চালায়।

দুদকের দলটি কাজী টাওয়ারে অবস্থিত কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালে অভিযানে গিয়ে দেখতে পায়, ওই হজ এজেন্সির কাছে প্রকৃত হাজির সংখ্যার সমর্থনে কোনো কাগজপত্র নেই। নিবন্ধিত প্রত্যেক হজ এজেন্সির কমপক্ষে ১৫০ জন যাত্রী পাঠানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও ওই হজ এজেন্সি মাত্র ৭৫ হজযাত্রী পাঠিয়েছে বলে জানায়। এ ছাড়া সৌদি আরবে হজযাত্রীদের বাড়িভাড়া, মুয়াল্লিম ফি ও অন্যান্য রশিদ পাওয়া যায়নি সেখানে।

দুদকের দলটি একই টাওয়ারে অবস্থিত কাজী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের কাগজপত্র পরীক্ষায় দেখতে পায়, এই হজ এজেন্সি গত বছর চার লাখ টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে, যা অডিটে উল্লেখ রয়েছে। এত বড় অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির ঘটনার পরও কীভাবে এ এজেন্সি অনুমোদন পেল, তা রীতিমতো বিস্ময়কর।

এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত হজযাত্রীসহ সবার কাছে দুর্নীতিবিরোধী লিফলেট ও দুদক হটলাইনের (১০৬) স্টিকার বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২, ৪, ৯ ও ১৫ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে অভিযান চালায় দুদক।

এ অভিযান প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য হজকেন্দ্রিক দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং অব্যাহত অভিযানের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলা।’