Thank you for trying Sticky AMP!!

হাইকোর্টে জামিন পাননি ডিআইজি মিজানের ভাগনে

ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ভাগনে এসআই মাহমুদুল হাসান হাইকোর্ট থেকে জামিন পাননি।

আর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে টাঙ্গাইলে করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন হয়নি ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) টাঙ্গাইলের তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক (ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার) সোহেল রানার। জামিন চেয়ে তাঁদের করা পৃথক আবেদনের ওপর আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়।

শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাঁদের জামিন না দিয়ে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে (আদালত খোলার পর) আবেদন উপস্থাপন করতে বলেছেন বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফলে পৃথক মামলায় মাহমুদুল হাসান ও সোহেল রানাকে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সোহেল রানার পক্ষে আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু এবং মাহমুদুল হাসানের পক্ষে আইনজীবী মোতাহার হোসেন শুনানিতে ছিলেন।

আইনজীবীদের তথ্য অনুসারে, ফারমার্স ব্যাংকের বকশীগঞ্জ শাখা থেকে ৯ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী ও সোহেল রানাসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় ওই মামলাটি করে দুদক।

আর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ডিআইজি মিজান ও তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৪ জুন ঢাকায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি মামলা করে দুদক। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। পৃথক দুই মামলায় ওই দুজন নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে পৃথক আবেদন করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।