Thank you for trying Sticky AMP!!

হামলার বিচার চেয়ে উপাচার্যকে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক হামলাগুলোর বিচার চেয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপি দেওয়ার আগে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানেরা এসব শিক্ষার্থীরা অপরাজেয় বাংলার সামনে সমাবেশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১২ জুলাই। ছবি: সাইফুল ইসলাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার দাবিতে উপাচার্যকে স্মারক লিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দর ব্যানারে আজ মঙ্গলার দুপুরে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ওই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা অপরাজেয় বাংলার সামনে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে স্মারকলিপি পাঠ করেন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দর অন্যতম সমন্বয়ক আবু রায়হান খান।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাবিতে দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বিদ্যমান আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়েই নানাভাবে ছাত্রদের ওপর জুলুম নিপীড়নের ঘটনা ঘটে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা নতুন মাত্রা পেয়েছে।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সন্ত্রাসীদের হামলায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে আহত হয়। একই ঘটনা ঘটে ২ জুলাই শহীদ মিনারে। সেখানে সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের পুলিশে সোপর্দ করে এবং পুলিশ তাদের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়। কিন্তু এত ঘটনা ঘটলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক হামলাগুলোর বিচার চেয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দর ব্যানারে এ স্মারক দেওয়া হয়। উপাচার্যের কার্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭ জুলাই। ছবি: সাইফুল ইসলাম

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এসব হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস হয়ে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। ১৫ জুলাই শহীদ মিনারে এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন শিক্ষকেরা। সেখানেও চিহ্নিত ব্যক্তিরা হামলা চালায়। কিন্তু হামলায় অংশ নেওয়া ছাত্রদের ছবি ও ফুটেজ বারবার গণমাধ্যমে আসলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মীম আরাফাত, অরণি সেমন্তী খান, সানজিদা আলম. শাহনেওয়াজ অমি, সামান্থা শারমিন প্রমুখ।