Thank you for trying Sticky AMP!!

হাসপাতালে দর্শনার্থীদের প্রতি কঠোর হোন: প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএসসিসিএম এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিটিক্যাল কেয়ার নার্সিংয়ের যৌথ উদ্যোগে ১০ দিনব্যাপী তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (ক্রিটিকন-থ্রি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে বাড়তি দর্শনার্থীদের আগমনকে নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে যেকোনো সময় রোগীর ক্ষতি বা ইনফেকশন হতে পারে। প্রয়োজনে ভিজিটর কর্নার থাকবে, সেখানে মনিটরে রোগী দেখে আত্মীয়স্বজন, প্রিয়জনেরা চলে যাবে অথবা গ্লাসের বাইরে থেকে রোগী দেখবে।

জটিল রোগীর ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, ক্যামেরাসহ অপারেশন থিয়েটারে মিডিয়া ঢুকে পড়ছে। আত্মীয়স্বজন, ভিজিটর যাচ্ছে, ভাত-মাছের মতো। বিদেশে তো এভাবে রোগী দেখতে দেওয়া হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিৎসকদের আরও কঠোর হতে হবে। বাধা দিতে হবে। রোগী বাঁচাতে চাইলে চিকিৎসাটা ভালোভাবে করতে দিতে হবে।’ শেখ হাসিনা ভিজিটরদের বাধা প্রদানের ক্ষেত্রে কঠোর হওয়ার জন্য প্রয়োজনে তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) রেফারেন্স ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমার ভোট বাড়ল কি কমল সেটা চিন্তা নয়, রোগী বাঁচল কি না, তারা সেবা পাচ্ছে কি না, সেটাই আমার চিন্তা।’ এ ক্ষেত্রে পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারের চিকিৎসক এবং নার্সদের উন্নত প্রশিক্ষণের ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।

আজ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন (বিএসসিসিএম) এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিটিক্যাল কেয়ার নার্সিংয়ের যৌথ উদ্যোগে ১০ দিনব্যাপী তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (ক্রিটিকন-থ্রি) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে মানসম্পন্ন শিক্ষার ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মরণাপন্ন রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। তাই চিকিৎসার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হয়। তবে কতটা ঝুঁকিমুক্ত থেকে চিকিৎসা দেওয়া যায়, সে বিষয়টি যেমন দেখতে হবে, রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টিও তেমন দেখতে হবে।

অস্ত্রোপচার–পরবর্তী যত্নে চিকিৎসক এবং নার্সদের উন্নত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন চালু হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা চালু থাকায় টেলিমেডিসিনে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আগামী মাসে আমাদের নিজস্ব উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাব।’

দেশে এখন বেসরকারি পর্যায়ে ৬৯টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি মিলে ডেন্টাল কলেজের সংখ্যা ২৮টি। দেশে মোট সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৬টি। অটিস্টিক শিশুদের সুরক্ষায় ২২টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।