Thank you for trying Sticky AMP!!

হিম হিম পরমাণু গল্পগুচ্ছ

আঁকা: জুনায়েদ

শীতঘুমের প্রথম রাতে নিদ্রাহীনতায় ভুগতে থাকা এক তরুণ ব্যাঙ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিল, ‘রাত বাড়ছে, হাজার বছরের রাত! আমার চোখে ঘুম নেই। বন্ধুরা, জেগে থাকলে এসো চ্যাট করি।’
মিনিট কয়েক বাদে এক প্রবীণ ব্যাঙই একমাত্র কমেন্টটি করলেন, ‘যাক, একজন সঙ্গী মিলল!’

.

মনের অজান্তে পকেটের দেশলাই বাক্সটা মাঠে ফেলে গেল লোকটা। পরদিন দেশলাই সমাজের প্রতিটি পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হলো, ‘সারা রাত অবিরাম শিশির বর্ষণে এক দেশলাই পরিবারের মর্মান্তিক মৃত্যু!’

‘শীতে কাঁপতে কাঁপতে সারা রাত কাঁদি আমরা। আর আমাদের সেই কান্নার পানি পান করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে বোকা মানুষের দল!’—ভোরবেলা প্রতিবেশী কদমগাছকে নিজেদের দুঃখের কথা বলছিল লম্বা খেজুরগাছটা।


মাফলারের ছোট ছেলেটা খুব চঞ্চল। এক জায়গায় বসে থাকতে পারে না বেশিক্ষণ। অনেক কষে বেঁধে রাখার পরও ছুটে যায়। বিরক্ত হয়ে তার মালিক তাকে ফেলে রাখল ওয়ার্ডরোবে। তার জায়গায় এল নতুন আরেক মাফলার। বাবা মাফলার ছেলেকে দিলেন কঠিন বকা, ‘পইপই করে বলেছিলাম, ঠিকঠাকমতো বসে থাকবি, চঞ্চল হবি না। কে শোনে কার কথা! এখন বোঝ বেকার হওয়ার মজাটা!’

সাইবেরিয়ার প্রকৃতি বড় দানশীল। প্রতিবছর গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে অকাতরে ‘কুয়াশার চাদর’ বিতরণ করে।

.

‘১৩৯টি বল্লমের তীক্ষ ফলা এসে বিঁধল মুখলেস মিয়ার দেহে!’
প্রচণ্ড শীতের রাতে গা শিউরে ওঠার মতো গোসলের গল্পটি শুনতে শুনতে আমাদের মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল একটা স্রোত নেমে গেল!

বিলের জলে মনের সুখে ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে এক অতিথি পাখি বলে উঠল, ‘আহ্, কী উষ্ণ এই দেশটা!’
শীতে ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে এক বাংলাদেশি পানকৌড়ি সঙ্গীটাকে বলল, ‘ওরা এত ন্যাকা কেন! না বলে-কয়ে ঘুরতে এসেছে, ভালো কথা; বানিয়ে বানিয়ে কথা বলার কী দরকার! আমরা বাঁচি না শীতে আর তিনি বলছেন উষ্ণ!’

.

রুমহিটার কেনার মতো যথেষ্ট টাকা নেই পিঁপড়াটার। তাই সে প্রতিদিন দেরি করে ঘরে ফেরে। আশায় থাকে, দেরি করে ফেরার ফলে তার স্ত্রী অগ্নিদৃষ্টিতে তাকাবে; আর তাতে করে কিছুটা ওম পাবে সে!

মাংকি ক্যাপ কেনার জন্য এক বানর গেল দোকানে। হইহই করে তেড়ে এল দোকানের লোকেরা! মানুষের এমন আচরণে কষ্ট পেয়ে একটা সাধারণ ক্যাপ নিয়ে ঘরে ফিরল বানরটা। ছেলেকে বলল, ‘মাংকি ক্যাপ নেই, এই শীতে ম্যান ক্যাপই পরো।’