Thank you for trying Sticky AMP!!

হেঁটে ঢাকার পথে ২০ ভারতীয়

কলকাতার ক্ষুদিরাম বোস কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হেঁটে চলেছেন ঢাকার পথে। গতকাল বিকেলে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালী এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

ভারতের কলকাতার একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী। হেঁটে চলেছেন ঢাকার পথে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের আগে গন্তব্যে পৌঁছাবেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বদেশে ফিরবেন।

২০ জন আছেন ওই দলে। তাঁরা কলকাতার ক্ষুদিরাম বোস সেন্ট্রাল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। গত শুক্রবার কলকাতা থেকে রওনা দেন। গতকাল শনিবার বিকেলে তাঁরা ঝিনাইদহ শহরে এসে পৌঁছান। রাতযাপন শেষে আজ রোববার ঢাকার পথে হেঁটেই রওনা হবেন।

দলটির সহায়ক সদস্য সুখেন মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষুদিরাম বোস সেন্ট্রাল কলেজের হীরকজয়ন্তী এবং মৈত্রী দেশ এই কর্মসূচির আয়োজক। কলেজের অধ্যক্ষ সুবির কুমার দত্ত দলটির নেতৃত্বে আছেন। ২০ জনের মধ্যে কলেজের শিক্ষক আছেন ৮ জন। বাকি ১২ জন কলেজের ছাত্র ও ছাত্রী।

শুক্রবার দলটির যাত্রা শুরু হয় বেশ ঘটা করে। পশ্চিমবঙ্গের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে উপস্থিত ছিলেন। দলটি প্রথম দিন ভারতের পেট্রাপোল পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়। সেখানে তারা রাত যাপন করে। রোববার সকালে রওনা দিয়ে গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তারা ঝিনাইদহে পৌঁছায়।

গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পদযাত্রী দলটির দেখা মেলে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালী এলাকায়। তখন ছোট ছোট কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে তারা ঝিনাইদহ শহরের দিকে আসছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ হাঁটছিলেন, কেউ আলতোভাবে দৌড়াচ্ছিলেন। সবার গায়ে ভারতীয় জাতীয় পতাকার রঙে তৈরি গেঞ্জি।

সুখেন মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে মৈত্রী গড়ে তুলতেই তাঁদের এই কর্মসুচি। ২৬ মার্চ তাঁরা ঢাকায় পৌঁছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তাঁরা একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হবেন। সেখানে রক্ত দেওয়ার ইচ্ছা আছে। সেটা অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এরপর তাঁরা ভারতে ফিরে যাবেন।