Thank you for trying Sticky AMP!!

১১ এপ্রিল সরকারকে নমুনা কিট হস্তান্তর করবে গণস্বাস্থ্য

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচজন ব্যক্তির রক্তের নমুনা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দিয়েছে সরকার। এতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ১১ এপ্রিলের মধ্যে প্রয়োজনীয় নমুনা কিট তৈরি করা যাবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী গতকাল বুধবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গণস্বাস্থ্যের ল্যাব পরিদর্শন করেছেন। এরপর রাতে করোনায় আক্রান্ত পাঁচজনের রক্তের নমুনা সরকার দিয়েছে। সেগুলো নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। ১১ এপ্রিল সরকারকে কিছু নমুনা কিট সরবরাহ করা হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ বলেন, রক্তের নমুনা পাওয়ায় গণস্বাস্থ্য র‌্যাপিড ডট ব্লট (জি র‌্যাপিড ডট ব্লট) কিট তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই কিটের নমুনা সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (উব্লিউএইচও) ও অন্য সংস্থাগুলোকে দেওয়া হবে, যাতে সবাই এটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে পারে।

গত মাসে কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করার কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গত ১৮ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কিটের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান বা রি-এজেন্ট আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়। পরে ১৯ মার্চ দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে কিট তৈরির উপাদান আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

গত রোববার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার জন্য কিট তৈরির উপাদান বা রি-এজেন্ট চীন থেকে দেশে পৌঁছায়। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিট তৈরির সব প্রস্তুতি আগে থেকে নেওয়া ছিল। কিট তৈরির উপাদানের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। 

বর্তমানে করোনাভাইরাস শনাক্তে ব্যবহৃত পিসিআর পদ্ধতিটি ব্যয়বহুল। পিসিআর পদ্ধতিতে নাক, মুখের লালা দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তবে এই পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তের প্রথম দিনেই রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটে এক ফোঁটা রক্তের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে। এর জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হতে হয়। ফলে গণস্বাস্থ্যের কিটে পরীক্ষাটি আক্রান্ত হওয়ার তৃতীয় দিনে কার্যকর হবে।

জাফরুল্লাহ বলেন, গণস্বাস্থ্যের কিটের মাধ্যমে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।