Thank you for trying Sticky AMP!!

১৩ ক্লাবে হাউজি-কার্ড-ডাইস খেলা নিয়ে রিটের রায় ২৮ জানুয়ারি

ফাইল ছবি

অর্থের বিনিময়ে ঢাকা ও উত্তরা ক্লাবসহ দেশের পাঁচ জেলার ১৩টি ক্লাবে হাউজি, ডাইস ও কার্ডের মতো অভ্যন্তরীণ খেলা আয়োজন প্রশ্নে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি আদালত এই বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেদওয়ান আহমেদ রানজিব। ঢাকা ক্লাবের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। পরে রেদওয়ান আহমেদ রানজিব প্রথম আলোকে বলেন, রুলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২৮ জানুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

আইন অনুসরণ না করে এসব ক্লাবে জুয়া, ডাইস ও কার্ডের মতো অভ্যন্তরীণ খেলা আয়োজনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালে হাইকোর্ট রিট করেন দুই আইনজীবী। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে ঢাকা ও উত্তরা ক্লাবসহ দেশের পাঁচ জেলার ১৩টি ক্লাবে অর্থের বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও কার্ডের মতো অভ্যন্তরীণ খেলার আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।

নিষেধাজ্ঞা মাধ্যমে ক্লাবগুলোকে এই কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা ক্লাব আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তি করতে সময় বেঁধে দেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করা হয়।

ওই ১৩টি ক্লাব হলো ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব। হাইকোর্টের দেওয়া রুলে ওই সব ক্লাবে অর্থের বিনিময়ে কার্ড, ডাইস ও হাউজি মতো অভ্যন্তরীণ খেলার আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রেদওয়ান আহমেদ রানজিব বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত রয়েছে। তবে চলতি মাসে ওই রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।