Thank you for trying Sticky AMP!!

১৮ মাসে ৫৩৫ বিচারবর্হিভূত হত্যা: এইচআরএফবি

অলংকরণ: তুলি

গত বছরের (২০১৯) জানুয়ারি মাস থেকে এ বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৫৩৫ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমেই এসব ঘটনা ঘটেছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) এই তথ্য দিয়েছে। কাল শুক্রবার নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস। দিনটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা তথ্য তুলে ধরে এ জোট।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংঘটিত বিচার বর্হিভূত হত্যার মধ্যে কথিত বন্দুক যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে ৪৮১ জনের, শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের এবং অন্যান্য (গুলি, অসুস্থ ও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার) ৩১ জনের। এর মধ্যে গত সাড়ে পাঁচ মাসেই ১১ জন নির্যাতনের ফলে নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে।

এইচআরএফবির সমন্বয়ক তামান্না হকের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী সনদ অনুমোদন করে । আর এর ১৫ বছর পর ২০১৩ সালে এ সনদের আলোকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন গ্রহণ করে। হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ করা এবং ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এ আইন প্রণয়ন করা হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাত বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত এ আইনের অধীনে কোনো মামলার সুরাহা হয়নি। হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগের বিপরীতে মামলা হয়েছে গুটি কয়েক (১৭টি)। অধিকাংশ সময় ভুক্তভোগী বা তার পরিবার নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মামলা করার সাহস পান না। যারা সাহস করে মামলা করেছেন তারা নানা পর্যায়ে হয়রানি ও হুমকি শিকার হচ্ছেন। ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে নানা প্রতিকূলতার শিকার হচ্ছেন।

এইচআরএফবি মনে করে, বিদ্যমান দায়হীনতা ও বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি রোধে সরকারের পক্ষ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সংবিধান ও মানবাধিকারের মানদণ্ড এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়াটা জরুরি। নয়তো কিছু সদস্যের অপরাধ প্রবণতা ও স্বেচ্ছাচারিতা রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ক্রমান্বয়ে জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে নেবে। আর এটি রাষ্ট্রের জন্য মোটেও মঙ্গলজনক হবে না।