Thank you for trying Sticky AMP!!

২২টি জীবিত ও দুটি মৃত হরিণ উদ্ধার

ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বন থেকে ভেসে আসা অন্তত ২২টি হরিণ জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। গত শনিবার ঝড় শেষে এসব হরিণ আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে জলোচ্ছ্বাসে কত হরিণ নদীতে ভেসে গেছে বা মারা গেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে স্থানীয় বন বিভাগ বা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি।
গত রোববার সকালে হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের কিল্লার বাজার ও চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কমলারদিঘি এলাকায় মেঘনা নদীর তীর থেকে দুটি মৃত হরিণ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হরিণ দুটি মাটিচাপা দেওয়া হয় বলে জানান হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. মঈন উদ্দিন।
হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে প্রায় ২০ হাজার হরিণ রয়েছে বলে জানান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আঘাত হানার পর বিকেলে নিঝুম দ্বীপের আশপাশের এলাকার নদীতে কমপক্ষে ২০টি হরিণ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন হরিণ উদ্ধার করে আবার বনে ছেড়ে দেয়।
বন বিভাগের নিঝুম দ্বীপের বিট কর্মকর্তা নূর এ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়ের পর পানির তোড়ে ভেসে আসা দুটি বাচ্চা হরিণকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একটি হরিণ বন্দরটিলা ও আরেকটিকে চোয়াখালি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। হরিণের বাচ্চা দুটি বিট কার্যালয়ে রেখে সুস্থ করে তোলা হচ্ছে।
বিট কর্মকর্তা বলেন, নিঝুম দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি উঁচু টিলা রয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের সময় অধিকাংশ হরিণ এসব টিলায় অবস্থান নেয়। এ কারণে হরিণের তেমন ক্ষতি হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।