Thank you for trying Sticky AMP!!

২২১ আসনে অনিয়মের চিত্র অভিন্ন: আলাল

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কথাই এখন সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ রোববার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

আলাল বলেন, এ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি জাগরণ এসেছিল। কিন্তু যেদিন সিইসি নির্বাচনের দিন হাসপাতাল, ডাক্তার ও অ্যাম্বুলেন্সকে স্ট্যান্ডবাই রাখার নির্দেশে দিলেন সেদিনই আমরা ভেবেছিলাম নির্বাচনটা সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। বিষয়টি সিইসি আগেই জেনেছিলেন বলে ভোটারদের সতর্ক করেছিলেন।

আলাল বলেন, ব্যালট পেপারে আগেই সিল মারা হবে, কোথাও কোথাও আগেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হবে— এই আশঙ্কা আমরা আগেই প্রকাশ করেছিলাম। ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মেরে পিটিয়ে কেন্দ্রে থেকে দূরে রাখা হবে। বিভিন্ন আসনে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে বা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনে সেই চিত্রই আমরা দেখছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী সদস্যদের সহযোগিতায় এগুলো করা হচ্ছে। যাতে প্রমাণিত, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে।

সকালে নির্বাচন শুরু হওয়ার সময়ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটা প্রত্যাশা ছিল বলে মনে করেন আলাল। তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে এই অর্থহীন তামাশার কোনো প্রয়োজন ছিল না। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে বা অন্য কোনো কায়দায় একটা গেজেট জারি করে নিলেই হতো যে, নৌকা ২৯৯ আসন বা দু শ সাড়ে নিরানব্বই আসন পেয়ে গেছে। বহু প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনের সঙ্গে যারা তামাশা করে তারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে। জনগণের একদিনের রাজা হওয়ার সুযোগটাকে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হলো।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, আমরা নিজস্ব সূত্র থেকে এখন পর্যন্ত (দুপুর ২টা পর্যন্ত) যা জানি, তাতে ২২১ আসনে অনিয়মের চিত্র অভিন্ন। মাত্রার হেরফের থাকতে পারে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, ভোট তো প্রায় শেষ। ভোটে না থাকার তো কোনো যৌক্তিকতা নেই। থাকতেই হবে।

এমন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত আপনারা কী করবেন জানতে চাইলে আলাল বলেন, শেষ পর্যন্ত কী করব সে বিষয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।