Thank you for trying Sticky AMP!!

২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, একসঙ্গে ৪ বছরের তথ্য সংগ্রহ করার চিন্তা

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৩ এপ্রিল থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করবে। ইসি এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে একসঙ্গে চার বছরের ভোটার তথ্য সংগ্রহ করার চিন্তাভাবনা করছে। প্রস্তাব অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে যাঁদের বয়স ১৮ হবে, তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ইসির বৈঠকে আজ সোমবার এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। ১০ এপ্রিল ইসির পরের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৈঠকে এখন থেকে সব ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গ্রহণ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রতিবছর হালনাগাদ করতে গেলে প্রতিবারই জনবল নিয়োগ দিতে হয়। তা ছাড়া কোনো বছর গুরুত্বপূর্ণ কোনো নির্বাচন থাকলে সে বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা কঠিন কাজ হয়ে যায়। যে কারণে ইসি ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যাঁদের বয়স ১৮ হয়েছে বা হবে, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করবে। এঁদের মধ্যে যাঁরা এখনই ভোটার হওয়ার যোগ্য, তাঁদের ভোটার করে নেওয়া হবে। বাকিদের মধ্যে যখন যাদের বয়স ১৮ হবে, তখন তাঁদের ভোটার করে নেওয়া হবে।

স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার সম্পর্কে মহাপরিচালক বলেন, যেহেতু ইসির কাছে এখন পর্যাপ্ত সংখ্যক ইভিএম আছে, তাই এখন থেকে সব ধরনের স্থানীয় নির্বাচন ইভিএমে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয় ২০১৭ সালে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে হালনাগাদের কাজ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৪২ লাখ।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাঁদের জন্ম, তারা ২০২০ সালের নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। এ ছাড়া ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের এই কাজ চলবে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত চলবে।

আগামী ৫ মে নতুন ঘোষিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই সিটিতে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এসব ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩০। এবারের নির্বাচনে ইসি সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করবে।