Thank you for trying Sticky AMP!!

২৫ দিনে তাফসির আউয়ালকে তিনবার তলব দুদকের

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

গত ২৫ দিনে তিনবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাফসির আউয়ালকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিউইয়র্ক ও একাধিক ব্যাংক হিসাবে নিজেদের মালিকানাধীন মাল্টিমোড লিমিটেডের কোটি কোটি টাকা লেনদেন ও পাচার করেছেন। কিন্তু তাফসির বলছেন, এসব অভিযোগের উৎ​স পারিবারিক বিরোধ থেকে।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর দ্বিতীয় ছেলে তাফসির আউয়াল যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেন। তিনি ২০১৩ সালে বিয়ে করেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর মেয়ে মায়া বাড়োলো রিজভীকে। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাঁদের একটি মেয়ে শিশু আছে। সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে মা-বাবার মধ্যে লন্ডনের আদালতে মামলা চলছে। এর মধ্যেই দুদক তাফসিরকে তলব করে নোটিশ দিলে তিনি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসেন।

আজ বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে তাফসির আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার পারিবারিক ঝামেলা চলছে লন্ডনে। লন্ডনের আদালত আমাকে অনুমতি দিয়েছিল, আমার ২০ মাস বয়সী ছোট একটি মেয়ে আছে ওকে দেখার জন্য। আমি মনে করি, আমাকে এখানে নিয়ে আসা ও দেশে রেখে দেওয়া...যেন মেয়েকে না দেখতে পাই।’

তাফসির বলেন, ‘আমি চাচ্ছিলাম আমার মেয়েকে দেখতে। এখন যদি আবার ডাকে (দুদক), তবে দেখার সম্ভাবনা থাকবে না। যদি না ডাকে তাহলে আমি মেয়েকে দেখার জন্য যাব (লন্ডন)।’

এর আগে দুদক তাফসির আউয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগে (বিআইএফআইউ) কিছু নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেয়। চিঠিতে আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং তাঁর সন্তানদের নামে এনএফএম এনার্জির নামে যুক্তরাজ্যের একটি ব্যাংকের লন্ডন শাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ব্যাংকের নিউইয়র্ক ও পিটার্সবার্গ শাখার কয়েকটি অ্যাকাউন্টের তথ্য, থাইল্যান্ডে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট নিবন্ধন এবং লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য এবং বারমুডায় নিবন্ধিত ‘এনএফএম এনার্জি লিমিটেড’–এর তথ্য চাওয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক গত ২৫ দিনে তিনবার তলব করে তাফসির আউয়ালকে। ৩১ আগস্ট প্রথমবার, ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার এবং সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তাঁকে তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল।
লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে কি না- জানতে চাইলে তাফসির আউয়াল ৩১ আগস্ট বলেছিলেন, ‘দুদকের কাছে কে অভিযোগটা দিয়েছে, বা কী কারণে অভিযোগটা এসেছে- এটা নিয়ে হয়তোবা আমার একটু অসুবিধা আছে। মনে হয় এটি (অভিযোগ) ব্যক্তিগত কারণে করেছে, সেটা হয়তো দুদক জানে না।’

তাঁকে বারবার দুদকের তলবের বিষয়ে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাফসির আউয়াল বলেন, ‘দুদক আমার কাছে যেসব তথ্য চেয়েছে, তার সবই আমি দিয়েছি। আমি অনুরোধ করব, আপনারা যদি পারেন জিজ্ঞেস করেন- অভিযোগটা কী? যেদিন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সেদিন আরও যে অভিযোগ জমা হয়েছে; সেগুলোর অবস্থা কী? সেগুলোর তদন্ত কর্মকর্তা কি নিয়োগ হয়েছে? তাদের কি তিনবার ডাকা হয়েছে? এগুলো জিজ্ঞেস করুন।’