Thank you for trying Sticky AMP!!

২৭ বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হয়নি আজও

স্বাধীনতার ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও গাইবান্ধার ২৭টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে ধীরে ধীরে এগুলোর স্মৃতিচিহ্ন মুছে যাচ্ছে। একটি বধ্যভূমি দখল হয়ে গেছে। এই অবস্থায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
গাইবান্ধা বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে জেলার সাতটি উপজেলার ৩০টি বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও ৩০টি বধ্যভূমির মধ্যে ২৭টিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। যেগুলোতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে: সাঘাটার মুক্তিনগর, পলাশবাড়ীর কাশিয়াবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী।
যেসব বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি সেগুলো হচ্ছে: গাইবান্ধা সদর উপজেলার শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়ামসংলগ্ন (তৎকালীন হেলাল পার্ক) কফিল শাহর গুদাম, কামারজানি, নান্দিনা, বিসিক শিল্পনগরের সামনে, সাদুল্যাপুর রোড, ত্রিমোহিনী, ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি তিস্তামুখ রেলওয়ে ঘাট, কাইয়ারহাট, উদাখালী, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার থানা সদরের শহীদ মিনার এলাকা, লালচামার, কামারপাড়া-বামনডাঙ্গা রেল সড়ক, সাঘাটা উপজেলার ওয়াপদা বাঁধ, বোনারপাড়া রেলওয়ে লোকোশেড, বোনারপাড়া তেলের ট্যাংকি এলাকা, বোনারপাড়া কেজি স্কুল, বোনারপাড়া কলেজ, সুজাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, দলদলিয়া, পলাশবাড়ীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিথি ভবনের পেছনের গুদাম, মুংলিশপুর জাফর, খায়রুলের দিঘিরপাড়, পলাশবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৈরিহরিণমারি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের পাখেরা, মালঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মহিমাগঞ্জ চিনিকল গণকবর।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি বধ্যভূমি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল করে নিয়েছেন। গাইবান্ধা নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর জন্যই এসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ সময়ের দাবি। বর্তমানে স্বাধীনতার পক্ষের সরকারকেই এই দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
গাইবান্ধা বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক জি এম চৌধুরী বলেন, বধ্যভূমি সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। না হলে একদিন বধ্যভূমির স্মৃতিচিহ্ন মুছে যাবে। তাই এসব বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে আন্দোলন চালানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. এহসানে এলাহী জানান, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বধ্যভূমিগুলোতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে ভবিষ্যতে টিআর প্রকল্প থেকে বরাদ্দ এনে এসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি কোনো বধ্যভূমি দখল করার অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।