Thank you for trying Sticky AMP!!

৪ জেলার ১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান

দুদক

দেশের চার জেলার ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি এবং বিভিন্ন খাতে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেয়ে এ অভিযান চলে আজ বুধবার। দুদকের কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করে।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, সংস্থার হটলাইনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি, বেআইনি অর্থ আদায়, পাঠদান ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ আসে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের এনফোর্সমেন্ট দলের প্রধান ও সংস্থার পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। রাজধানী ঢাকাসহ রাঙামাটি, দিনাজপুর ও ফরিদপুরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদক জানিয়েছে, অভিযানকালে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের কাঞ্চনডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গরীবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিন্নাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নবাবগঞ্জ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ৬ জন প্রধান শিক্ষককে অনুপস্থিত পাওয়া যায়।
ফরিদপুর সদরের চারটি বিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে টেপাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে স্কুলে অনুপস্থিত পায়। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ফরিদপুরের বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং হালিমা গার্লস স্কুল ও কলেজে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে তা অভিভাবকদের কাছে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রাঙামাটির রাণীদয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে দুই হাজার টাকা নেওয়া ও কোচিং করতে বাধ্য করার প্রমাণ পাওয়া যায়। দুদক দল এ অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।
এদিকে গত সোমবার রাজধানীর মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালিত অভিযানে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষকের অঙ্গীকার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা দেখতে আবারও অভিযান চালানো হয়। প্রধান শিক্ষকের নেওয়া অবৈধ অর্থ পুনরুদ্ধারে ওই অভিযানটি পরিচালিত হয়। এ সময় সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক দুদক দলটিকে মুচলেকা দেন, অবিলম্বে সকল টাকা দুদকের উপস্থিতিতে অভিভাবকদের ফেরত দেওয়া হবে।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাজমান অবক্ষয় ও বিশৃঙ্খলা দূর করতে দুদকের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সমান্তরালে জনসাধারণকেও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে নামতে হবে।’