Thank you for trying Sticky AMP!!

৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে ভারতীয় সন্ত্রাসী দাউদ মার্চেন্টের অব্যাহতি

ভারতীয় সন্ত্রাসী আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।
দাউদ মার্চেন্ট দুবাইভিত্তিক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের অন্যতম সহযোগী। ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাঁকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত ও তথ্য প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মর্চেন্টকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবীরা বলেন, বর্তমানে কারাগারে থাকা দাউদ মার্চেন্টের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকলে তাঁর মুক্তিতে বাধা নেই।
এর আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ভারতের আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার নেতা অনুপ চেটিয়াকে সাজা শেষে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর আদালতে দেওয়া ডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় দাউদ মার্চেন্টকে আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে তখন পাসপোর্ট ছিল না। পুলিশের ধারণা, বাংলাদেশে কোনো অপরাধ সংঘটন করতে বা ভারতে বড় কোনো অপরাধ করে তিনি পালিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৬ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন দাউদ মার্চেন্ট। এ ঘটনায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাসপোর্ট আইনে করা মামলা থেকে জামিনে বের হলে তাঁকে গাজীপুর থেকে ৫৪ ধারায় আটক করে ডিবি। তিনি ভারতের বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের কর্ণধার গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি। ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট মুম্বাইয়ে গুলি করে গুলশানকে হত্যা করা হয়।
পুলিশের সূত্র বলেছে, দাউদ ইব্রাহিমের নেটওয়ার্ক বিস্তারের জন্য তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিলের নির্দেশে এ দেশে পালিয়ে এসেছিলেন দাউদ মার্চেন্ট।