Thank you for trying Sticky AMP!!

৬০ গ্রামে পানি ঢুকছে, পানীয় জলের সংকট

শরীয়তপুরে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ৪৪৮ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হয়েছে। শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাট ও সদর উপজেলার অন্তত ৬০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।


পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চার উপজেলার ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে ১০টি বিদ্যালয়ে পাঠদানের কাজ বন্ধ রয়েছে। এলাকায় পানিবন্দী মানুষের খাবার পানির এবং গবাদিপশুর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।

পানির তোড়ে জাজিরা-নড়িয়া সড়কের চারটি স্থান ভেঙে গেছে। ওই সড়কে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। এ ছাড়া ঢাকা-শরীয়তপুর-মঙ্গলমাঝির ঘাট সড়কের ডুবিসায়বর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চার দিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার নড়িয়া ও জাজিরার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আসেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। তিনি জাজিরার কাজীরচর, বিলাশপুর, নড়িয়ার মোক্তারের চর, কেদারপুর ও সুরেশ্বর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

ত্রাণ বিতরণের সময় উপমন্ত্রী এনামুল হক বলেন, দেশের কোথায়ও ত্রাণের জন্য মানুষের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। আওয়ামী লীগ ও সরকার বন্যার্তদের পাশে আছে। সরকার বন্যা কবলিত সকল জেলায় প্রতিদিন ত্রাণ তৎপরতা চলাচ্ছে। বন্যার্তদের জন্য নগদ টাকা, চাল, ও টিনসহ বিভিন্ন সামগ্রী বরাদ্দ করা হয়েছে।