Thank you for trying Sticky AMP!!

৭৬ জনকে ভুয়া করোনার রিপোর্টের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি রিমান্ডে

রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মিজানুর রহমান।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমানকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শনিবার এই আদেশ দেন।

এর আগে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আসামি মিজানুর রহমানকে আদালতে হাজির করে দশ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আসামি মিজানুরের দশ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

ঢাকা মহানগরীর মেট্ররেল প্রকল্পে ৭৬ জন শ্রমিকের করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ, এমডি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রেজাউল করিম নামের এক ব্যক্তি। বাদী একশিড করপোরেশন নামের প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। মামলার এজাহারে রেজাউল করিম বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ জন শ্রমিকের মধ্যে ৭৩ জনের করোনা হয়নি বলে রিজেন্টের পক্ষ থেকে রিপোর্ট দেওয়া হয়। আর তিনজনের পজিটিভ বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াদুর রহমান আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, আসামি মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা একেকজনকে করোনা টেস্ট করানোর বিনিময়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। ৭৬ জন শ্রমিকের কাছ থেকে ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নিয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতাল ৭৬ জনের কাছ থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে কোনো প্রকারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে আসামিরা করোনা বিস্তারে সহায়তা করেছে।

করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালত। করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে র্যাব বাদী হয়ে সাহেদসহ ১৭ জনের নামে মামলা করে। এখন পর্যন্ত ওই মামলায় সাহেদসহ ১০ জন গ্রেপ্তার হন। এ মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওরফে তােরক শিবলী ঢাকার সিএমএম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দ দিয়েছেন। অপরদিকে, সাহেদ ও মাসুদ পারভেজকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব।