Thank you for trying Sticky AMP!!

৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি

কামরুল ইসলাম

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রীসহ সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ: বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি’ উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট আলোচনা সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এত দিন পরে আমরা চিন্তা করছি। আমাদের তথ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হয়তো টনক নড়েছে যে বাংলাদেশের স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ভাষণটি পাঠ্যসূচিতে আসা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এই ভাষণ নিয়ে একদিন গবেষণা করবে। 

দিন দিন মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কমে আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ প্রজন্ম অনেক দিন অন্ধকারে ছিল। তাঁদের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে, তা থেমে নেই। সেই শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশের উন্নতি থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
নিজেদের মধ্যে বিভেদের কারণেই মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ বিশ্বাসঘাতকতা করে বলে মন্তব্য করেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখন এক থাকতে হবে। অন্য কেউ যেন আর সুযোগ পায়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন, এ ভাষণের ওপর প্রামাণ্যচিত্র হওয়া উচিত। সারা দেশের মানুষের কাছে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের সভাপতি মনিরুল হক আলোচনার সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি তাঁর জোটের পক্ষ থেকে এ ভাষণকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের আরও বক্তব্য দেন জোটের মহাসচিব নাজমুল হাসান, উপদেষ্টা শচীন কর্মকারসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ইতিহাসের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা—ইউনেসকো।