Thank you for trying Sticky AMP!!

'আমরা জুতা খাব, আর ওনারা ফুলের মালা পরবে!'

মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাংসদ শওকত চৌধুরী বলেছেন, ‘জনগণ মনে করে মন্ত্রী আমাদের টাকা দিছে, আমরা মারি খাই। ওনারা বলে দেবে, দেয় না। আমাদের বেইজ্জত করার অধিকার কি তাদের আছে? আমরা জুতা খাব, আর ওনারা ফুলের মালা পরবে!’

নীলফামারী থেকে নির্বাচিত সাংসদ শওকত চৌধুরী আজ রোববার জাতীয় সংসদে এসব কথা বলেন।

শওকত বলেন, রংপুর বিভাগে আছে ৩৩টি আসন। রংপুর বিভাগে টাকা নেই। বাজেট নেই। রংপুরের মানুষ এখন মফিজ নেই। রংপুরের চাল, সবজি ঢাকায় আসে। তারপর ঢাকার মানুষ সেটা কেনে। এটা মাথায় রাখতে হবে।

বাজেট বরাদ্দে সুষম বণ্টন হয় না অভিযোগ করে শওকত বলেন, এত টাকার বাজেটে এত ভালো কাজ হচ্ছে না। কিছু মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে। কিন্তু সারা দেশে সুষমভাবে বাজেটের অর্থ ব্যয় হয় না। রংপুর বিভাগে বড় প্রকল্প নেই।

সুষম বণ্টন দাবি করে শওকত বলেন, ‘৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট। আমার ভাগে তো ১০০ কোটি টাকা পড়ে। অন্তত ৫০ কোটি টাকা তো পড়ে।’

সরকারি গুদামে চালের মজুত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির এই সাংসদ বলেন, সরকার চাল নিয়ে ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছে।

সাংসদ শওকত জানতে চান, ভরা মৌসুমে চালের দাম দ্বিগুণ হয়েছে কেন? এটা দেখা দরকার।

সরকারের উদ্দেশে সাংসদ শওকত বলেন, ‘আপনারা বলছেন মজুত আছে, মজুত আছে। তাহলে দাম বাড়ছে কেন? আমার মনে হয়, মজুত নাই। এটা ফাঁকা বুলি।’

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করে শওকত বলেন, ‘কোন জিনিসের দাম বাড়েনি? আমার সেটা জানা দরকার। ক্ষমতা বড় পিচ্ছিল জিনিস। পিছলাইতে সময় লাগে না।’

সামনের নির্বাচনে ঢাকায় ১৮টি আসনের ১টিও আওয়ামী লীগ পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিরোধী দলের এই সাংসদ বলেন, ‘চাউল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর চেষ্টা করেন। ফাঁকা বুলি মাইরেন না। বহুত ফাঁকা বুলি মারছেন।’

বক্তব্যে সরকারের সমালোচনার একপর্যায়ে জাতীয় পার্টির এই সাংসদ বলেন, মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিতে হবে। ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ লোক সরকারের বিপক্ষে চলে গেছে।