Thank you for trying Sticky AMP!!

'এটা কি আর এমনে এমনে হয়েছে?'

ওবায়দুল কাদের। প্রথম আলোর ফাইল ছবি

বৈশ্বিক চাপের মুখে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন মিয়ানমার কঠিন থেকে নরম অবস্থানে সরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে মিয়ানমারের মন্ত্রী এলেন, সমাধানের জন্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। মন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ‘এটা কি আর এমনে এমনে হয়েছে?’ 

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সাগরপাড়ের তারকা হোটেলে সংবাদ সন্মেলনে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ নেতা কাদের দাবি করেন, সরকারের সফল কূটনৈতিক তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি এতিম হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, তাই এখন তাঁরা সবকিছুতেই পুরনো ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি লোক দেখানো ফটোসেশন করে। ত্রাণ বিতরণের নামে তারা নাটক করে গেছে। প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপির কোনো বাস্তব উদ্যোগ নেই। কিন্তু কোনো ধরনের চাপ, অনুরোধ বা সিদ্ধান্ত ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত দুয়ার খুলে দিয়েছেন। এখন তাদেরকে স্বদেশে নিরাপদে ফেরত দেওয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন। রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের জন্য জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পাঁচ দফা প্রস্তাব সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। মন্ত্রীর দাবি-এই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান হবে।

জাতিসংঘকে বাদ দিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা কতটুকু সফলতার মুখ দেখবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখানে বিএনপি কি বলল, না বলল সেটা দেখার বিষয় নয়। তাদের কাজ শুধু অভিযোগ আর সন্দেহ করে যাওয়া। কিন্তু আসলে কিছু করার শক্তি ও সামর্থ্য তাদের নেই। তাই বড় বড় কথা বলে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে নমনীয় হয়েছে; আশা করি কূটনৈতিক তৎপরতায় এটাও সম্ভব হবে। রোহিঙ্গাশিবিরে দেশিবিদেশি অনেক বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) কাজ করছে। এসব এনজিওতে স্থানীয়দের চাকরির কোটার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কাল (বুধবার) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এনজিওদের সমন্বয় সভা রয়েছে। সেখানে স্থানীয়দের কোটার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়ার নীতিমালা করার বিষয়ে আলোচনা হবে এবং এটা করা দরকার।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে দুই ব্যক্তির দেওয়া ত্রাণের ২০ লাখ টাকা জেলা প্রশাসনের রোহিঙ্গা ত্রাণ তহবিলে হস্তান্তর করেন মন্ত্রী। জেলা প্রশাসনের পক্ষে টাকা গুলো নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ারুল নাসের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি সাইফুজ্জামার শেখর, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।