Thank you for trying Sticky AMP!!

'কষ্টিপাথরের মূর্তি' নিয়ে বিরোধ, লাঠির আঘাতে দুজনের মৃত্যু

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় কথিত কষ্টিপাথরের মূর্তি কেনাবেচা কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে লাঠির আঘাতে আহত দুই তরুণ মারা গেছেন। আজ রোববার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরা মারা যান।

ওই দুজন হলেন বদরগঞ্জ পৌরশহরের স্টেশনপাড়ার আবদুল কাদেরের ছেলে শাহ জালাল (১৮) ও ভবেশ রায়ের ছেলে অর্জুন রায় (২০)।

জানতে চাইলে শাহ জালালের ভাবি জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, ‘কারা কেন তাঁদের মেরেছে, বুঝতে পারছি না।’

থানা-পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জের আমরুলবাড়ি গ্রামে কথিত কষ্টিপাথরের মূর্তি বিক্রির কথা বলে একটি চক্র অনেক দিন ধরে মানুষকে প্রতারিত করে আসছিল। গত শুক্রবার এই গ্রামের দুলাল হোসেনের বাড়িতে মূর্তি কিনতে আসেন অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি। সেখানে দুলালের ছেলে সুমন, শাহজালাল, অর্জুন ও একই গ্রামের আবু ছায়েম হোসেন ছিলেন। একপর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তি সুমন, শাহজালাল, অর্জুন ও আবু ছায়েমের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। এতে চারজনেরই মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। আহত অবস্থায় তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অর্জুন ও শাহজালালকে শনিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর পাঁচটার দিকে শাহজালাল ও দুপুর ১২ টার দিকে অর্জুন মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানতে চাইলে দুলাল হোসেন বলেন, মূর্তি নয়, মুঠোফোন বিক্রি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ওই ঘটনা ঘটেছে।

তবে বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ আলী বলেন, কথিত মূর্তি কেনাবেচা কেন্দ্র করেই লাঠির আঘাতে ওই দুজন মারা গেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।