Thank you for trying Sticky AMP!!

'গায়েবি' মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নেতা-কর্মীদের

বিএনপি

‘গায়েবি’ মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড, আকবর ও পাহাড়তলী আংশিক) আসনে বিএনপির প্রার্থী ইসহাক চৌধুরী। তফসিল ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নির্বাচনী আসনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ইসহাক চৌধুরী। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ দিদারুল আলমকে দায়ী করেন।

লিখিত বক্তব্যে ইসহাক চৌধুরী বলেন, গতকাল সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সীতাকুণ্ডে নিজের বাড়িতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভা চলাকালে বাড়ির চারপাশ ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। সভা শেষে বের হওয়ার পর প্রায় ২৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু তালিকা দেওয়া হলেও তাঁদের মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার জন্য গেলে সীতাকুণ্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম ও তাঁর ছোট ভাই নেজাম চৌধুরীকে থানায় আটক করে রাখে বলে অভিযোগ করেন ইসহাক চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ইসহাক চৌধুরী অভিযোগ করেন, পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। নেতা-কর্মীদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতা রফিক উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন, নাশকতা ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময় করা গায়েবি মামলায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।