Thank you for trying Sticky AMP!!

'দরিদ্র রোগীকে ওষুধ সরবরাহ করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে'

গবেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা জীবন ওষুধ সেবন করতে হয়। বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের ওপরে। এদের বড় অংশ দরিদ্রশ্রেণির। দরিদ্র রোগীকে ওষুধ সরবরাহ করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সাসাকাওয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘উচ্চ রক্তচাপ! নীরব ঘাতক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গবেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। সরকারের অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। আজ বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক আবদুল মালিক বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নীরব ঘাতকের মতো। সব মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্তচাপ পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের সম্মিলিত চেষ্টায় এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে তোলা সম্ভব। তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে একজন ব্যক্তিকে সারা জীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। দরিদ্র মানুষের পক্ষে সারা জীবন এই ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। এদের ওষুধ দেওয়ার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।

আইসিডিডিআরবির অসংক্রামক ব্যাধি শাখার প্রধান আলেয়া নাহিদ বলেন, ১০০ জন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর মধ্যে ২০ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। প্রতিটি মানুষের উচ্চ রক্তচাপ পরিস্থিতি জানার অধিকার আছে। অন্য যেকোনো রোগের কারণে চিকিৎসকের কাছে গেলেও রোগীর রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে একাধিক আলোচক উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধের ওপর জোর দেন। তাঁরা বলেন, ধূমপান না করলে, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করলে, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে উচ্চ রক্তচাপ থেকে দূরে থাকা যায়। তারা পরিমিত লবণ খাওয়ারও পরামর্শ দেন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, একজন মানুষের দৈনিক পাঁচ গ্রামের কম লবণ গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের মানুষ দৈনিক গড়ে ১০ গ্রামের বেশি লবণ গ্রহণ করে।

বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) বলেন, উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কিছু উদ্যোগ চোখে পড়ে। এসব উদ্যোগ কার্যকর কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক নূর মোহাম্মদ ও উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক আবদুল আলিম, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আফজালুর রহমান, অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ান অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক এস এম মোস্তাফা জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।