Thank you for trying Sticky AMP!!

'নেতৃত্বে তারুণ্য' সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘নেতৃত্বে তারুণ্য’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানসহ অতিথিদের কয়েকজন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী ‘নেতৃত্বে তারুণ্য’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন। দেশের ১০টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ে এ সম্মেলন চলে বুধ ও বৃহস্পতিবার। এর আয়োজনে ছিল ‘অধিকার এখানে, এখনই’ বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্ম।

সম্মেলনে মূল বিষয়বস্তু ছিল যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং এর অধিকার। সম্মেলনে দেশের আট বিভাগ থেকে ৩৫০ জন তরুণ-তরুণী অংশ নেন। তাদের মধ্যে অনেকে মাঠ পর্যায়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি সমাধানের পথ খুঁজে পান বিভিন্ন সেশনে আলোচকদের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য থেকে।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান এবং ইউএনএফপিএ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি আসা টোরকোলোসন।

সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ। বক্তব্য দেন সম্মেলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মর্জিনা খাতুন, নাজিয়া নূরে জারিন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনের সম্মেলনে কক্ষে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মূল অধিবেশনে লিঙ্গ, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন নেটওয়ার্ক ফর রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের নির্বাহী পরিচালক সানাইয়া ফাহিম আনসারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসলিমা ইয়াসমিন, নারীপক্ষের সদস্য কামরুন নাহার, বেসরকারি সংগঠন কথা’র প্রতিষ্ঠাতা উমামা জিল্লুর, আইন ও সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজা।

অন্য অধিবেশনগুলো পরিচালনা করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সহযোগী ঋতুজা সোম, আরএইচস্টেপের এলভিনা মুশতারী, সেরাক বাংলাদেশের তাসনিয়া আহমেদ, অবয়বের নির্বাহী পরিচালক নাজিয়া জেবিন এবং ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ আবদুল্লাহ আনবার আনান তিতির। এতে বক্তব্য দেন ফারহানা আলম, মাশফিকা জামান সাতিয়ার, জোবায়ের ইসলাম, মন্দিরা রায়, হামিদা আক্তার হিমা, আলামিন, শোভা সরকার, মারুফ রহমান, ফরিদ আহমেদ, রনতি চক্রবর্তী, মেহেদি মোবারক আমান, তাসনুভা আহমেদ, আশফিকা রহমান, আদিল হোসেন তপু, সাইমুম রেজা পিয়াস প্রমুখ।

সম্মেলনের আহ্বায়ক সামিয়া আফরীন বলেন, কে কোথায় কোন অবস্থায় জন্ম নিয়েছি, তা মুখ্য নয়। নিজেদের মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ প্রত্যেকের হাতে রয়েছে। সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণেরা যেন ভূমিকা রাখতে পারে, সেদিকে সবার নজর দেওয়া জরুরি। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারবিষয়ক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে হবে। এ জন্য তরুণদের সঙ্গে প্রবীণের সমন্বয় জরুরি।

* নাগরিক পাতার জন্য সংবাদটি পাঠিয়েছেন তাসনুভা আহমেদ