Thank you for trying Sticky AMP!!

'পর্যাপ্ত পিপিই না সরবরাহ করায় রোগী ভর্তি বন্ধ'

সুরক্ষা সরঞ্জাম না পেয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসকেরা ভর্তি বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছেন। ছবি: মানাউবী সিং

সুরক্ষা সরঞ্জাম না পেয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসকেরা ভর্তি বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এ নোটিশ টাঙানো হয়।

নোটিশে লেখা রয়েছে ‘পর্যাপ্ত পিপিই না সরবরাহ করায় রোগী ভর্তি বন্ধ’।

এদিকে ভর্তি হতে না পেরে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কাউকে কাউকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রসূতি বিভাগের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

দেশজুড়ে চিকিৎসক ও নার্সরা নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সতর্কতায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসছে। পিপিই না পেয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
এ পরিস্থিতির মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

তবে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা নেই বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায়। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

এদিকে প্রসূতি বিভাগের সামনে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় সুদদেব দাস নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি জানান, তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে হাসপাতালে এসেছেন ভর্তি করাতে। এখন ভর্তি করাতে পারছেন না।
প্রসূতি বিভাগের সামনে অপেক্ষারত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে আসা অজয় চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি বেলা ১১ টার দিকে স্ত্রীকে ভর্তি করান। স্ত্রীর প্রসব বেদনা হচ্ছে। এদিকে সাড়ে ১১ টায় ভর্তি বন্ধের নোটিশ ঝুলাতে দেখেছেন। এখন ভেতরে স্ত্রীর কী অবস্থা ভেবে দুশ্চিন্তা হচ্ছে তাঁর।

প্রসূতি বিভাগের একজন নার্স বলেন, পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম না থাকায় চিকিৎসকের পাশাপাশি তাঁরাও ঝুঁকিতে রয়েছেন। কারণ তাঁদের রোগীর সংস্পর্শে আসতে হয়। রোগীকে স্যালাইন, ইনজেকশন দিতে হয়, ওষুধ খাওয়াতে হয়। তিনি জানান, ব্যক্তিগত সুরক্ষার চিন্তা করে তিনি কাল সোমবার নিজ খরচে রেইনকোট কিনে নেবেন বলে ভাবছেন।