Thank you for trying Sticky AMP!!

'বঙ্গবন্ধু ছিলেন অ্যারিস্টটল প্লেটোর সমকক্ষ'

‘বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ও আমাদের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে জাগো ফাউন্ডেশন। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১৩ জুন। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেছেন, অ্যারিস্টটল, প্লেটো থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত যে সকল দার্শনিক জন্ম নিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন তাঁদের সমকক্ষ। এমনকি রাজনীতিতে বিশ্বে যাঁরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধু তাঁদের মধ্যেও অন্যতম।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ও আমাদের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জাগো বাংলা ফাউন্ডেশন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেন, ৬ দফা শুধু একটি ঘোষণা নয়, এটি একটি দর্শন। ৬ দফায় রয়েছে অর্থনীতি, রাজনীতি, শোষিত-নিপীড়িত মানুষের কথা। তিনি আরও বলেন, ৬ দফা প্রণয়নকারী সেই মহামানবকে হত্যার পর ২১ বছর দেশ শাসন করেছে পাকিস্তানপন্থীরা। পাকিস্তানের ২৩ বছর ও পাকিস্তানপ্রেমীদের দেশ শাসনের ২১ বছর বাংলাদেশের অন্ধকার যুগ।

ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী নাসির আহমেদ সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশীদ।

যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ৬ দফা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিল। মুক্ত চিন্তা গড়ার, স্বাধীন ভাবে চিন্তা করার ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রাথমিক ধারণাটা ৬ দফার মধ্যে নিহিত ছিল।

সমকালের উপসম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত ছিলেন যে পাকিস্তান কাঠামোর মধ্য থেকে বাঙালির অধিকার আদায় সম্ভব হবে না। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, বাঙালিরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। সেই পটভূমিতেই তিনি ৬ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের নানাদিক তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে নাসির আহমেদ বলেন, রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকবে। ভিন্নমত মানে এই নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করবে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করবে না, সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেবে। বিরোধী দল থাকবে তবে তাদেরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী হতে হবে।