Thank you for trying Sticky AMP!!

'বন্দুকযুদ্ধে' হত্যা করে যুবলীগ নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগ

যশোরের কেশবপুরে যুবলীগের এক নেতাকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন যুবলীগের ওই নেতার বাবা।
ওই নেতার নাম আশরাফুল ইসলাম। তিনি কেশবপুরের মজিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। তিনি দেউলি গ্রামেে আব্বাস উদ্দীনের ছেলে।
আব্বাস উদ্দীন গতকাল দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে যুবলীগের নেতা আশরাফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর নির্যাতন করে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা ও ডাকাতির মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে তারা।’
পুলিশ বলছে, মাসখানেক আগে কেশবপুরে ডাকাত দলের দুই পক্ষের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ইউনুস আলী সানা নামের এক ব্যক্তি। পরে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা, ডাকাতি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে সাতজনকে আসামি করে মামলা করে। আশরাফুলকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস উদ্দীন বলেন, ‘১৯ এপ্রিল গভীর রাতে কেশবপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমার বাড়িতে যায়। তারা আশরাফুলকে ঘুম থেকে ডেকে মারধর করতে করতে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে দেউলি মোড়ে নিয়ে গিয়ে চোখ, হাত, পা বেঁধে বেদম মারপিট করা হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে ক্রসফায়ারের মাধ্যমে একজনকে হত্যা করে পুলিশ। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে দুই দল ডাকাতের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়।’
আশরাফুলের পরিবার বলছে, ওই ঘটনার আগে দেউলি গ্রামের চৌরাস্তা মোড়ে বুলু বিশ্বাস ও হাসান আলী নামে দুই ব্যক্তি ফসলি জমিতে পৃথক ইটভাটা স্থাপনে তোড়জোড় শুরু করেন। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন এলাকাবাসী। আশরাফুল ওই আন্দোলনে নেতৃত্বে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাটার মালিকেরা টাকার বিনিময়ে পুলিশকে দিয়ে এ ষড়যন্ত্র করিয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাড়ি থেকে নয়, আশরাফুলকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়।’ আশরাফুলও ডাকাত দলের সদস্য, দাবি করে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে খুলনার ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরার কলারোয়া ও কেশবপুরের থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে।