Thank you for trying Sticky AMP!!

'বাসাবাড়িতে যে গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটা অপচয়'

এ কে আজাদ। ফাইল ছবি

ব্যবসায়ী সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, বাসাবাড়িতে যে গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটা অপচয়। সেখানে গ্যাসটা পুড়িয়ে শেষ করে ফেলা হচ্ছে। আর সিএনজিতেও গ্যাস দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
রাজধানীর মতিঝিলের একটি হোটেলে আজ সোমবার বিসিআই আয়োজিত ‘শিল্পে জ্বালানি সক্ষমতার উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কে আজাদ এ কথা বলেন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে যত গ্যাস ব্যবহৃত হয় তার ১২ শতাংশ যায় বাসাবাড়িতে। আর ৫ শতাংশ যায় সিএনজিতে। এই ১৭ শতাংশ গ্যাস দেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) কোনো অবদান রাখতে পারছে না। এই গ্যাস শিল্পে দেওয়া উচিত। আর বাসাবাড়ি ও সিএনজির জন্য এলপিজির ব্যবস্থা করা উচিত।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এখন যে গ্যাস মজুত আছে তা দিয়ে ১৫ বছরের বেশি চলবে না বলে শুনেছি। আমরা শুনেছি, অনেকগুলো গ্যাসকূপের গ্যাসের চাপ ২০১৭ সাল থেকেই কমে যাবে। তাহলে বিকল্প কী? বর্তমানে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎই আসছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। কিন্তু এই গ্যাস যখন শেষ হয়ে যাবে তখন কীভাবে এই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে তার কোনো স্বচ্ছ ধারণা আমাদের সামনে নেই। আমরা আমাদের বিদ্যমান বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তিত।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘যাঁরা ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র পেয়েছেন কিংবা পাবেন, তাদের আগামী ছয় মাসের মধ্যে সক্ষমতার ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা আসবে।’ তিনি বলেন, সামনে কঠিন দিন আসছে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ১৫ বছর পর দেশের গ্যাস একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর ২-৪ বছর পর থেকেই বিভিন্ন কূপে গ্যাস কমতে শুরু করবে। সে জন্য এখন থেকেই জ্বালানি দক্ষতা বাড়ানোর চর্চা শুরু করতে হবে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান বলেন, ‘দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দক্ষতা অনেক কম। তারা বলে ৬৪ শতাংশ। কিন্তু আমার কাছে দাম বাড়ানোর আবেদন করার সময় বলে ৪৬ শতাংশ। তাই বলে তো এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুই জ্বালানির দাম বাড়াতে চাই না। কমাতেও চাই। এ জন্য একটাই কাজ করতে হবে, তা হলো জ্বালানির দক্ষতা বাড়ানো।’