Thank you for trying Sticky AMP!!

'লজ্জা থাকলে সংসদে আসবেন না'

মোহাম্মদ নাসিম

লজ্জা থাকলে নারায়ণগঞ্জের সাংসদ সেলিম ওসমান সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। আমি মনে করি, সংসদ সদস্যের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে তিনি সব সংসদ সদস্যকে অপমান করেছেন।’
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় যে ধরনের প্রতিবাদ হয়েছে, তাদের এ প্রতিবাদের ভাষা বোঝা উচিত। আমি মনে করি তারা নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছেন। ওই সংসদ সদস্যের যদি লজ্জা থাকে তাহলে তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন না।’ সেলিম ওসমানের ব্যাপারে তিনি বলেন, তিনি জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য। জাতীয় পার্টিরও দায়িত্ব রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
চিকিৎসাধীন শিক্ষককে হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায় তারা মানবতার শত্রু। আমি শিক্ষকের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের অবস্থান কঠোর।’ শিক্ষককের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তাঁর অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে লাঞ্ছনার শিকার হওয়ায় শিক্ষক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। উনি যত দিন চান এখানে চিকিৎসা নিতে পারেন।’ 

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান। সেখানে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা সহকারে উনি কাজ করে যেতে পারেন, সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে রাষ্ট্রকে।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কয়েক দিন আগে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে কানে ধরে উঠ-বস করানো হয়। এ ঘটনার খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।