Thank you for trying Sticky AMP!!

'সুন্দরী সোহেলের' কার্যালয় থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

নিহত কাজী রাশেদ

রাজধানীর মহাখালীতে যুবলীগ কর্মী কাজী রাশেদ হত্যা মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রধান আসামি বনানী থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ইউসুফ সরদার ওরফে সুন্দরী সোহেলের কার্যালয় থেকে ১২১টি গুলিসহ চারটি অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

গত রোববার ভোরে রাজধানীর মহাখালীতে যুবলীগ নেতা সোহেলের কার্যালয়ের সীমানাদেয়াল–সংলগ্ন রাস্তা থেকে কাজী রাশেদের রক্তাক্ত ও গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর নিহত যুবলীগ কর্মীর স্ত্রী কাজী মৌসুমি বাদী হয়ে সোহেলসহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের জব্দ করা সোহেলের কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, চারজন চারদিকে ধরে কাজী রাশেদের লাশ সরাচ্ছেন।

পুলিশ সূত্রগুলো বলছে, মহাখালীতে একটি কথিত অনলাইন সংবাদমাধ্যমের নামে কার্যালয় ভাড়া নিয়ে তাতেই নানা অপকর্ম চালাতেন সোহেল। এ কার্যালয়ের ভেতরেই রাশেদকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সোহেলের খোঁজে তাঁর বাসায়সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

পুলিশের বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার সোহেলের রেইনবো নিউজের কার্যালয় তল্লাশি করে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি শাটারগান ও ১২১টি গুলি জব্দ করা হয়েছে। সোহেলসহ অন্যদের খোঁজে অভিযান চলছে।

পুলিশ সূত্রগুলো জানায়, এ অস্ত্রগুলো বৈধ কি না, সেটি যাচাই করবে পুলিশ। সোহেলের নামে একাধিক অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল। তবে এতগুলো অস্ত্রের মালিক তিনি নন বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।