Thank you for trying Sticky AMP!!

পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারের জেল হেফাজত বাড়ল

১৪ মে কলকাতা থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার বাংলাদেশে অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত পি কে হালদার ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। কলকাতায় সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) তিন নম্বর আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

আজ আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিল অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আদালতকে জানাবেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যে অভিযোগ করেছে, সেই নথি তাঁরা হাতে পেয়েছেন কি না।

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অভিযোগের নথি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে আজ পি কে হালদার বা তাঁর কোনো সহযোগী আদালতে জামিনের আবেদন করেননি। তাঁদের আইনজীবীরাও কোনো বক্তব্য দেননি। এর আগে পি কে হালদারের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল।

গত বছরের মে মাসে পি কে হালদার ও তাঁর আরও পাঁচ সহযোগীকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। বাংলাদেশের একটি ব্যাংক থেকে অর্থ তছরুপ করে তাঁরা ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন বলে ইডির আইনজীবী জানান।

পি কে হালদার ছাড়াও গ্রেপ্তার হন তাঁর ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার, যিনি উত্তর চব্বিশ পরগনায় পি কে হালদারের জমিজমা, বাড়ি ও মাছের ভেড়ির ব্যবসা আংশিকভাবে দেখাশোনা করতেন। এ ছাড়া আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার হন। ইডি পরবর্তী তিন মাসে তাঁদের জেরা করে ভারতে প্রচুর সম্পত্তির হদিস পায়, যার মধ্যে ছিল একাধিক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, অর্থ এবং বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগবিষয়ক কাগজপত্র। মালয়েশিয়া, দুবাই ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জেও সম্পত্তির হদিস মেলে। তাঁর একাধিক পাসপোর্টেরও হদিস পাওয়া যায়।

মামলা শুরুর পর ধারাবাহিকভাবে হাজিরা দিতে থাকেন হালদার পরিবারের সদস্যরা। এখনো তাঁদের কেউ জামিন পাননি।

Also Read: কে এই পি কে হালদার, কী তাঁর ‘কীর্তি’